সংস্কার দিয়ে লুটপাটতন্ত্র ভেঙে ফেলার আহ্বান জানিয়ে সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, সংস্কার কার্যক্রমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা উৎসাহী ছিলেন; কিন্তু তার উপদেষ্টামণ্ডলী ও আমলাদের মধ্যে নিরুৎসাহ দেখা গেছে। বাকি সংস্কার সম্পন্ন করতে হলে নাগরিক সমাজকেই চাপ প্রয়োগ করে নির্বাচনের ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বরিশালে নাগরিক প্লাটফর্মের উদ্যোগে নির্বাচনকেন্দ্রিক এক আঞ্চলিক পরামর্শ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর একটি অভিজাত হোটেল মিলনায়তনে এ পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দেবপ্রিয় বলেন, বর্তমানে দেশ একটি ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চলমান সময়ে দেশবাসী সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং মর্যাদাপূর্ণ নির্বাচন চায়। নির্বাচন নিয়ে জনগণের মাঝে শঙ্কা আছে। সেই শঙ্কা দূর করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকেই দায়িত্ব নিতে হবে।
তিনি বলেন, ইদানীং একাত্তর ও চব্বিশের আন্দোলনকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে। আমি বলতে চাই যারা এ চেষ্টা করছেন তাদের সঙ্গে আমরা নেই। বরং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরস্পরের পরিপূরক।
প্রাক-নির্বাচনি আঞ্চলিক পরামর্শ সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় পর্যায়ের শীর্ষ নেতাসহ নানা শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজনরা অংশ নেন।
এ সময় অনলাইন ভোটিংয়ে লিখিতসহ তাদের বক্তব্যে নানান অভিযোগ তুলে ধরেন বক্তারা।
নাগরিক সমাজের বক্তব্যে উঠে আসে- দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা, মৌলিক সংস্কার, সর্বোপরি সুশাসন নিশ্চিতে সরকারকে আরও কাজ করার তাগিদ। দেশব্যাপী একটি অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু ভোট দেখতে চায় বলেও জানায় সিপিডি।
দেশের সাতটি বিভাগীয় শহরসহ গুরুত্বপূর্ণ জেলা সদরেও এই নাগরিক প্লাটফর্মের পরামর্শ সভা করছে প্রতিষ্ঠানটি।