সাবেক ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ঘনিষ্ঠ ১০ শিল্প গ্রুপের দুর্র্নীতি, অর্থ লুট ও অর্থ পাচারের তদন্তে চলছে টাস্কফোর্সের। যারমধ্যে অন্যতম হলো ওরিয়ন গ্রুপ। এই প্রতিষ্ঠানের মালি ক ওবায়দুল করিম এবং তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। কিন্তু আদালতের এই নিষেধাজ্ঞাকে ফাঁকি দিয়েছেন তিনি প্রতারণা, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে। সরকারের প্রচলিত আইন বা বিধি-বিধান অনুযায়ী যে আদালত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বা শিথিল করার ক্ষমতা একমাত্র ওই আদালতেরই রয়েছে। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত্রে গত ফেব্রুয়ারিতে ওবায়দুল করিম এবং তার পরিবারের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত। কিন্তু তিনি পরবর্তীতে গত জুলাই মাসের শেষে বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে, যদিও এটি সম্পূর্ণ অবৈধ। নিয়ম অনুযায়ী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ বিষয়ে তাকে অনুমতি দিতে পারেন না, ওবায়দুল করিমও সেই আদালতে অনুমতি প্রার্থনা করতে পারেন না।
ব্যবসায়ী ওবায়দুল করিম এবং তার পরিবারের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে দুদকের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল। গত ৩০ জুলাই রাতে ওবায়দুল করিম বিদেশ যাওয়ার প্রাক্কালে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে আটকায়নি। এমনকি আদালতের বৈধ অনুমতিপত্র থাকলেও এক্ষেত্রে দুদকের ক্লিয়ারেন্স নেওয়াটা অপরিহার্য ছিল। কিন্তু ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ক্লিয়ারেন্স নেয়নি বলে দুদক জানিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাপের কারণেই ওবায়দুল করিমকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। এমনকি দুদকেরও এতে সহযোগিতা ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কাছ থেকে অবৈধ অনুমতি নেওয়ার সময় দুদকের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে বাধা দেয়া হয়নি। এর পরেও দুদক তাক্ষণিকভাবে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ওবায়দুল করিম বিদেশ চলে যাওয়ার ১১ দিন পরে ১০ আগস্ট, ২০২৫ দুদকের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আবেদন করা হয় তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার জন্য। উচ্চ আদালত তিন মাসের জন্য ওবায়দুল করিমের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা বহাল করেন ওই দিনই। যথাসময়ে না গিয়ে এতো পরে কেন উচ্চ আদালতে যাওয়া হলো, এর জবাব দিতে পারছেন না দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ব্যবসা জীবনের শুরু থেকেই নানা রকমের জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা, ব্যাংকের অর্থ, সরকারের টাকা আর মানুষের টাকা লুট করে বড় হয়েছেন। সেই জাল-জালিয়াতির চরিত্র এখনো দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কোথাও আটকাচ্ছেন না। আটকানোর সম্ভাবনা দেখা দিলেই বড় অংকের টাকায় সরকারের প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। প্রত্যেকটি সরকারের আমলেই এমনটি দেখা গেছে, এমনকি এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও। ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের প্রায় ৪৮৮ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা হাতেনাতে ধরা পড়ে ওয়ান ইলেভেনের আমলে। তিনি নিজে লিখিতভাবে এসব অর্থ আত্মসাতের কথা কাগজে-কলমে স্বীকারও করেছেন। কিন্তু তারপরও তার কিছুই হয়নি। দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে সেইসব মামলার বিচার ঝুলছে। এছাড়া গুরুতর আরো বিভিন্ন ঘটনায়ও মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনটি মামলার রায়ে আদালত তার বিরুদ্ধে ৪৮ বছরের কারাদণ্ডও দিয়েছেন আদালত। কিন্তু তারপরও দিব্যি তিনি সবকিছু আগের মতোই চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী আমলে ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ম্যানেজ, সরকারের মন্ত্রীসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিজের প্রতিষ্ঠানের অংশীদার বানিয়ে, সরকারি অর্থ ভাগবাটোয়ারা করে পার করেছেন ১৬ বছর।
অবাক ব্যাপার হলো, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও একই প্রক্রিয়ায় পার পেয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের পাশাপাশি ১০টি শিল্প গ্রুপকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা অর্থ আত্মসাত ও অর্থপাচারের ঘটনায় শীর্ষে রয়েছে। দুদক, বিএফআইইউ, সিআইডিসহ বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স ইতিমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমাণে অর্থপাচারের প্রমাণও পেয়েছে। যারমধ্যে এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ ও ওবায়দুল করিমের ওরিয়ন গ্রুপ অন্যতম। এস আলম বিদেশে পালিয়ে রয়েছেন, সালমান রহমান জেলে আটক রয়েছেন, অথচ একই অপরাধের জন্য দায়ী ওবায়দুল করিম দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শুধু দেশে নয়, বিদেশ সফরেও যেতে পারছেন, যা এতো বড় অপরাধীর ক্ষেত্রে কল্পনাতীত ব্যাপার। যদিও অপরাধের দিক বিবেচনা করলে ওবায়দুল করিমের অপরাধ এস আলম, সালমান রহমান বা অন্যদের তূলনায় ওবায়দুল করিমের অপরাধ অনেকগুণ বেশি। ওবায়দুল করিম যখন ওরিয়েন্টাল ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা লুটের ঘটনায় ধরা পড়েন ওই সময় এস আলম বা সালমান রহমানরা এ ধরনের অপরাধে জড়িত ছিলেন না।
ওবায়দুল করিমের বিরুদ্ধে বতর্মানে বিভিন্ন ব্যাংকের প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ রয়েছে। প্রকল্পের নামে ঋণ নিয়ে সেই অর্থ দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পাচার করেছেন। সরকারি সংস্থার তদন্তে দুবাইয়ে ওবায়দুল করিমের বিপুল পরিমাণে অর্থপাচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
শীর্ষ অর্থপাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার কারণে রাষ্ট্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ ওবায়দুল করিম ও তার পরিবার সংশ্লিষ্ট সকল ব্যাংক হিসাব জব্ধ করেছে। তাদের বিদেশ যাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। কিন্তু প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে আদালতকে ফাঁকি দিয়ে ওবায়দুল করিম ইতিমধ্যেই বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন। গত ৩০ জুলাই রাতে তিনি বিদেশ পাড়ি দেন। এক্ষেত্রে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরাসরি সহযোগিতা করেছে এই অপরাধীকে বিদেশ পাড়ি দিতে। দুদকও ‘না দেখার ভান’ করে বিদেশে পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে। এমনকি আদালতও সম্পূর্ণ অবৈধভাবে সহযোগিতা করেছে ওবায়দুল করিমকে।
জানা গেছে, ওবায়দুল করিম এবং তার পরিবারের সদস্যরা যাতে বিদেশ যেতে না পারেন এজন্য দুদকের উপপরিচালক মো. রাশেদুল ইসলামের স্বাক্ষরে ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ( ইমিগ্রেশন) বরাবর চিঠি দেয়া হয়। চিঠির বিষয়বস্তু ছিল, “অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিদেশ গমন রহিতকরণ প্রসঙ্গে”। চিঠিতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, সূত্রস্থ অনুসন্ধানের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মো. ওবায়দুল করিম, চেয়ারম্যান, ওরিয়ন গ্রুপ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংসহ অন্যান্য অভিযোগটি নিম্নস্বাক্ষরকারীর নেতৃত্বে গঠিত ০৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট টিমের নিকট অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অনুসন্ধানকালে জানা যায় যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নিম্নোক্ত ব্যক্তি দেশত্যাগ করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। মোহাম্মদ ওবায়দুল ছাড়াও অন্য যে তিন জনের নাম উল্লেখ করা হয় তারা হলেন মিসেস আরজুদা করিম, সালমান ওবায়দুল করিম এবং জেরিন করিম। এরপরে বলা হয়, “এমতাবস্থায়, উপরে বর্ণিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ করা হল। বিষয়টি অতীব জরুরি।”
পরবর্তীতে ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত, ঢাকা হতে ওবায়দুল করিম ও তার পরিবারের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আদালতের আদেশে বলা হয়, “অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা জনাব মোঃ রাশেদুল ইসলাম, উপপরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রবল কার্যালয়, ঢাকার স্মারক নং-১০৭৩৩, তারিখ: ১৭/০২/২০২৫ সালে মূলে অভিযুক্ত মোহাম্মদ ওবায়দুল, চেয়ারম্যান ওরিয়ন গ্রুপ ও তার স্ত্রী/কন্যা-গণের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের আবেদন করেছেন।
শুনানির জন্য নথি উপস্থাপন করা হলো। দরখাস্তটি শোনা হলো। দাখিলী কাগজপত্রসহ দরখাস্ত পর্যালোচনা করা হলো। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দরখাস্ত খানা মঞ্জুরযোগ্য বিবেচিত হওয়ায় উহা মঞ্জুর করা হলো।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার প্রার্থীত মতে দরখাস্তে বর্ণিত ০৩ (তিন) জন ব্যক্তির জনস্বার্থে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হলো।
সেই সাথে বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন-প্রশাসন), স্পেশাল ব্রাঞ্চ, বাংলাদেশ পুলিশ মালিবাগ, ঢাকাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
দরখাস্তের ফটোকপিসহ অস্ত্র আদেশের অনুলিপি সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা, পরিচালক (পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন), দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা। বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন-প্রশাসন), স্পেশাল ব্রাঞ্চ, বাংলাদেশ পুলিশ মালিবাগ, ঢাকা। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করা হোক।”
চিকিৎসা ও ওমরাহ হজ¦ করার অজুহাতে ওবায়দুল করিম ১৭ মার্চ, ২০২৫ ঢাকার মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত থেকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি নিয়েছিলেন, কিন্তু পরদিন ১৮ মার্চ হাইকোর্ট স্পেশাল জজ আদালতের ওই অনুমতিপত্র স্থগিত করেন। এরপরে তিনি ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। স্পেশাল জজ আদালতে না গিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে যান বিদেশ গমনের অনুমতির জন্য। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩১ জুলাই, ২০২৫ থেকে এক মাসের জন্য বিদেশ গমনের অনুমতি প্রদান করেন, যদিও এটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ার বহির্ভুত। জানা যায়, ৩০ জুলাই, ২০২৫ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অবৈধ এ অনুমতির আদেশটি দেন। আর ওই রাতেই ওবায়দুল করিম বিদেশ পাড়ি জমান।
ওবায়দুল করিম বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ব্যবহার করেই। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে আটকায়নি। বরং সসম্মানেই পার করে দিয়েছে অর্থ আত্মাসাত ও অর্থপাচারকারী শীর্ষ অপরাধী ওবায়দুল করিমকে। এক্ষেত্রে তিনি দেখিয়েছেন আদালতের একটি অনুমতিপত্র। কিন্তু সরকারের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিদেশ গমনের এ অনুমতিপত্রটি মোটেই বৈধ নয়। কারণ, ইতিপূর্বে তিনি এবং তার পরিবারের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন যে আদালত, অনুমতিপত্রটি ওই আদালতের নয়, অন্য আদালতের। সরকারের এ সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী অন্য আদালতে এ ধরনের অনুমতি দিতে পারেন না।
সরকারের ইমিগ্রেশন বিভাগও এ অনুমতিপত্রের ওপর ভিত্তি করে ওবায়দুল করিমকে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে। যদিও ইমিগ্রেশন বিভাগের এক্ষেত্রে প্রধানতঃ তিনটি কারণে ওবায়দুল করিমকে আটকানো অপরিহার্য ছিল কিন্তু তা তারা করেনি। প্রথমত, শীর্ষ অর্থপাচারকারী হিসেবে তিনি টাস্কফোর্সের তদন্তাধীন, তাই টাস্কফোর্সের লিখিত অনুমতি ছাড়া বিদেশ যাওয়ার এ মুহূর্তে কোনো সুযোগ নেই। দ্বিতীয়ত, ইতিপূর্বে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল করিম এবং তার পরিবারের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তাই ওবায়দুল করিমকে বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে দুদকের ক্লিয়ারেন্স নেয়ার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তা করেনি। তৃতীয়ত, ইতিপূর্বে যে আদালত ওবায়দুল করিমের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, এ অনুমতিপত্রটি সেই আদালতের নয়- কাজেই ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের নিকট এটি গ্রহণযোগ্য হওয়ার কথা নয়। অথচ টাস্কফোর্স বা দুদকের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স না নিয়ে নিয়েই ওবায়দুল করিমকে বিদেশ পার করে দিয়েছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ওবায়দুল করিম ৩০ আগস্ট, ২০২৫ পর্যন্ত এক মাসের অনুমতি নিয়ে বিদেশ গেলেও এ পর্যন্ত দেশে ফিরে আসেননি। তিনি আদৌ আর দেশে ফিরবেন কিনা, এ নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছেন না।
শীর্ষনিউজ