Image description

কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার গরুর খামারে তিন মাসে দুই দফায় বন্দুক ঠেকিয়ে ১২টি গরু লুটের ঘটনা ঘটেছে। লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা শিক্ষক, কেয়ারটেকার ও ছাত্রসহ আটজনকে আহত করেছে। পুরো ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ঘুমিয়ে আছে—এ সময় হঠাৎ কয়েকজন অস্ত্রধারী যুবক মাদ্রাসায় প্রবেশ করে। প্রথমে দুইজন, পরে আরও দুইজন যুবক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। তাদের হুমকির মুখে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রুমের এক পাশে বসে থাকে। এরপর অস্ত্রধারীরা বাইরে চলে গেলে সবাইকে আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় দৌড়াতে দেখা যায়।

এ ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে লাকসাম থানায় মামলা করেছেন। তিনি জানান, গত শুক্রবার ভোরে দুইটি পিকআপভ্যান নিয়ে একদল ডাকাত মাদ্রাসায় ঢোকে। তারা প্রথমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে, শিক্ষকদের মারধর করে এবং মোবাইলফোন নিয়ে নেয়। এরপর তারা পাশের গরুর খামারে গিয়ে কেয়ারটেকার উৎসব হোসাইনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপে তুলে নিয়ে যায়। মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা ছুটে আসে, তবে ডাকাতরা ততক্ষণে পালিয়ে যায়।

মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয় দিয়েই এতিমখানাটি পরিচালিত হয়। তিন মাস আগে এই খামার থেকেই আরও সাতটি গরু লুট হয়েছিল। ফলে তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

তিনি বলেন, ‘খামারের বড় গরুগুলো সব লুট হয়ে গেছে। এক পাশে খালি জায়গা পড়ে আছে, এখন মাত্র ১১টি গরু আছে। খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাতদের আনা তুষের বস্তা—যেগুলো দিয়ে গরু ভ্যানে তোলা হয়।’

স্থানীয়রা গরু উদ্ধারের পাশাপাশি ডাকাতদলকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘মামলার পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। লুট হওয়া গরু উদ্ধারে এবং ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’