Image description
 

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আসছে নবম জাতীয় পে স্কেল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত পে কমিশন ইতোমধ্যে নতুন বেতন কাঠামো ও ভাতা পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাব নিয়ে কাজ শুরু করেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা ভাতা ও শিক্ষা ভাতার মতো মৌলিক সুবিধাগুলোর ওপর।

 

বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা মাসে মাত্র ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। তবে নতুন পে স্কেলে এই পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে বলে জোরালো ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। পে কমিশনের কাছে জমা পড়া বিভিন্ন প্রস্তাবনা অনুযায়ী চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির সম্ভাব্য তিনটি ধারা উঠে এসেছে—

প্রথমত, চিকিৎসা ভাতা বাড়িয়ে ১,৫০০ টাকা থেকে ২,৫০০ টাকা করার প্রস্তাব রয়েছে।
দ্বিতীয় প্রস্তাব অনুযায়ী, বাজারের বর্তমান মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এই ভাতা ৫,০০০ থেকে ৬,০০০ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে।
আর তৃতীয় ও সবচেয়ে আলোচিত প্রস্তাবটি হলো—কর্মচারীদের মূল বেতনের ১০ শতাংশ হিসেবে চিকিৎসা ভাতা নির্ধারণ করা।

 

এছাড়া কমিশন শুধু চাকরির সময় নয়, অবসর-পরবর্তী সময়েও চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে, যা আগে কোনো পে স্কেলে এত স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।

 

নতুন পে স্কেল নিয়ে আলোচনায় আরও জানা গেছে, সর্বনিম্ন (২০তম গ্রেডের) মূল বেতন ৩৫,০০০ টাকা করার প্রস্তাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বা তারও বেশি করার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন কর্মচারী ফেডারেশন।

চিকিৎসা ভাতার পাশাপাশি সন্তানের শিক্ষা ভাতা, টিফিন ভাতা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুবিধাও বাড়ানোর সুপারিশ করছে কমিশন। বিদ্যমান পে স্কেলের বৈষম্য দূর করে একটি ভারসাম্যপূর্ণ বেতন কাঠামো তৈরি করাই এই কমিশনের মূল লক্ষ্য।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, পে কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জমা পড়বে। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যেই গেজেট আকারে নতুন পে স্কেল প্রকাশ ও কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।