যদি ধরা হয় যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে ৭ ডিসেম্বর, তাহলে সেই তফসিল ঘোষণার বাকি আছে আর মাত্র এক মাস চার দিন। ইতোমধ্যে নির্বাচনে বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামী ঢাকাসহ দেশের অনেকগুলো জেলায় জোরেশোরে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে। ঢাকার কয়েকটি স্থানে এবং মফস্বলের কয়েকটি জেলা থেকে যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে সেসব খবরে দেখা যাচ্ছে, জামায়াতের প্রার্থীরা পোস্টার মেরে জনগণের কাছে ভোট চাচ্ছেন। অর্থাৎ জামায়াতের এই সব ব্যক্তি আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্তভাবে সিলেক্টেড হয়েছেন।
পক্ষান্তরে এ ব্যাপারে বিএনপি বেশ কিছুটা পিছিয়ে আছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বিএনপির সাথে অন্যান্য ইসলামী দলের দূরত্ব এখনো ঘোচেনি। ইসলামী দলগুলোর সাথে নির্বাচনী জোট বাধার ব্যাপারে বিএনপির অনীহা দেখা যাচ্ছে। যতদূর খবর পাওয়া গেছে, সেখান থেকে মনে হচ্ছে, জামায়াতে ইসলামী সাতটি ইসলামী দলের সাথে জুলাই সনদ ও নির্বাচনের ব্যাপারে এক ধরনের জোট বেঁধেছে।
দেশের ইসলামী ভোট টানার জন্য জামায়াত কমপক্ষে ১০০ আসন ছাড়বে বলে ঘোষণা করেছে। আর যেটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে সেটি হলো এইÑ যদি মধ্যপন্থার এক বা একাধিক যোগ্য ও জনপ্রিয় প্রার্থী আগ্রহী থাকেন তাহলে তাদের জন্যও জামায়াত আসন ছাড়বে।
সেখানে বিএনপির তরফ থেকে একমাত্র সালাহউদ্দিন আহমদ হেফাজতে ইসলাম প্রধানের সাথে দেখা করার পর অন্য কোনো ইসলামী দলের সাথে বৈঠকের প্রয়োজন অনুভব করেছেন বলে মনে হয়নি। হেফাজত প্রধানের সাথেও তার বৈঠক শেষ পর্যন্ত অনেকটা ফটোসেশনে পর্যবসিত হয়েছে। কারণ এর পরে আর এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
সচেতন জনগণ, যারা চায়Ñ আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসুক, তারা বিএনপির দু-একজন নেতার সাম্প্রতিক উক্তি শুনে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। সর্বশেষ মেজর হাফিজ উদ্দিন। তিনি বলেছেন, বিএনপির জুলাই সনদের দরকার নেই। মাঠের রাজনীতিতে কতখানি অপরিপক্ব হলে এ ধরনের কথা বলা যায় সেটি অভিজ্ঞ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা ঠিকই বোঝেন। এবারের নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি কোনো পলিটিক্যাল ন্যারেটিভ তৈরি করতে পেরেছে বলেও মনে হয় না। না হলে মির্জা ফখরুল কেমন করে জামায়াতকে বলেন, দয়া করে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা বাদ দিয়ে এবারের নির্বাচন নিয়ে কিছু গঠনমূলক ভূমিকা নিন। মনে হচ্ছে, ফখরুল সাহেবরা তাদের গা থেকে বামপন্থার গন্ধটি মুছে ফেলতে পারেননি। যদি পারতেন তাহলে জমায়াতের বিরুদ্ধে বিএনপির ন্যারেটিভে আওয়ামী লীগের কণ্ঠস্বর প্রতিধ্বনিত হতো না।
মাঝে মাঝে কিছু মানুষ ভাবছেন, বিএনপি কি আগামী নির্বাচনে বিপুল বিজয় সম্পর্কে ওভার কনফিডেন্ট বা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী? প্রশ্নটি এই জন্যই ওঠে যে, তারা তাদের বিপুল জনসমর্থনের ভিত্তি সম্পর্কে বিস্মৃত বলে প্রতীয়মান হয়। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মনে যাই থাক না কেন, দেশে যে লাখো কোটি সাধারণ মানুষ বিএনপির সমর্থক তারা কিন্তু মনে করেন, বিএনপি ভারতীয় আধিপত্যবাদ-বিরোধী এবং ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী। একবার যদি জনগণের বিশ্বাস ও সমর্থনের ভিত নড়ে যায় তাহলে একটা সময় আসবে যখন বিএনপির অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
নির্বাচনী কৌশল প্রণয়নের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ বিএনপির চেয়ে অনেক বেশি পারদর্শিতার প্রমাণ দিয়েছে। দলটি শুধু সেক্যুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতারই প্রবক্তা নয়, বিগত ১৫ বছরের দুঃশাসনে তাদের কীর্তিকলাপে প্রমাণিত হয়েছে, তারা পবিত্র ইসলামী আকিদারও বিরোধী। কিন্তু এতদসত্ত্বেও প্রতিটি নির্বাচনে তারা যতদূর সম্ভব ইসলামী দলগুলোকে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করেছে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইসলামী দলগুলোকে সম্পৃক্ত রাখার প্রচেষ্টা প্রথম লক্ষ করা যায় ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে। মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনটি ছিল পৃথক নির্বাচন। তৎকালীন পূর্ববঙ্গ পরিষদের মোট আসন ছিল ৩০৯টি। এর মধ্যে মুসলিম আসন ছিল ২৩৭টি এবং হিন্দুসহ অন্য সংখ্যালঘুদের আসন ছিল ৭২টি। এই নির্বাচনে মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মতো টাওয়ারিং পার্সোনালিটি থাকা সত্ত্বে¡ও তারা মুসলিম লীগ-বিরোধী যে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে সেখানে নেজামে ইসলাম পার্টিকেও যুক্তফ্রন্টে সম্পৃক্ত করে। আরো সম্পৃক্ত করে মরহুম বদরুদ্দিন আহমেদের পিতা মরহুম আবুল হাশিমের খেলাফতে রব্বানী পার্টির মতো ছোট দলকেও।
এই নির্বাচনে আওয়ামী মুসলিম লীগ পায় ১৪৩টি আসন। শেরে বাংলা ফজলুল হকের কৃষক শ্রমিক পার্টি পায় ৪৬টি আসন, নেজামে ইসলামী পার্টি পায় ২১টি আসন। এমনকি খেলাফতে রব্বানী পার্টির মতো দলও পায় দুটি আসন। এই দুটি আসনে নির্বাচিত হন মরহুম অধ্যাপক আবুল কাশেম ও সাহিত্যিক অধ্যাপক সাহেদ আলী।
নির্বাচনে ইসলামী দলগুলো যে একটি বড় ফ্যাক্টর সেটি হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট সেক্যুলারও বুঝেছিলেন। তাই ২০০৬ সালে তিনি পাঁচ দফা চুক্তি করেছিলেন পাক-ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামী স্কলার শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের সাথে। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমির মাওলানা মামুনুল হক শায়খুল হাদিস মাওলানা আজিজুল হকের পুত্র। শেখ হাসিনার সাথে শায়খুল হাদিস আজিজুল হকের যে পাঁচ দফা চুক্তি হয়েছিল সেগুলো ছিল নি¤œরূপ :
১. পবিত্র কোরআন, সুন্নাহ ও শরিয়তবিরোধী কোনো আইন প্রণয়ন করা হবে না।
২. কওমি মাদরাসা সনদের সরকারি স্বীকৃতি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
৩. হযরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, তার পর আর কোনো নবী আসবেন না। যারা এর প্রতি বিশ্বাস রাখে না তারা নিজেদের মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন নাÑ এই মর্মে আইন পাস করতে হবে।
৪. সনদপ্রাপ্ত হক্কানি আলেমরা ফতোয়ার অধিকার সংরক্ষণ করবেন। সনদবিহীন কোনো ব্যক্তি ফতোয়া দিতে পারবেন নাÑ এই মর্মে আইন পাস করতে হবে।
৫. নবী-রাসূল এবং সাহাবায়ে কেরামের কুৎসা রটনা করা দণ্ডনীয় অপরাধ। অবশ্য বামপন্থিদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে শেষ পর্যন্ত এই পাঁচ দফা চুক্তি বাতিল করা হয়। যে হেফাজতে ইসলামকে ২০১৩ সালে শেখ হাসিনা শাপলায় ম্যাসাকার করেছিলেন, কয়েক শ’ আলেম-ওলামাকে হত্যা করে গণহত্যার রক্তে হাত রঞ্জিত করেছিলেন, সেই শেখ হাসিনা পরবর্তীতে হেফাজতে ইসলামকে দলে টেনে নেন। শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত কওমি ঘরানার ছাত্র এবং ওলামা-মাশায়েখের জনসভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেফাজত প্রধান আল্লামা শফীর হাতে যেমন জাতীয় সংসদে পাস করা কওমি সনদ এবং ক্রেস্ট তুলে দেন, তেমনি হেফাজতে ইসলামও শেখ হাসিনাকে কওমি জননী উপাধিতে ভূষিত করে।
নির্বাচনের আর মাত্র সাড়ে তিন মাসেরও কম সময় অবশিষ্ট রয়েছে। আর তফসিল ঘোষণার জন্য অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র এক মাস চারদিন। এখন পর্যন্ত ইসলামী দলগুলোকে পাশে নেয়ার জন্য বিএনপির তরফ থেকে কোনো সিরিয়াস প্রচেষ্টা কারো চোখে পড়েনি।
শুধু ইসলামী দলগুলো নয়, বিএনপির সিনিয়র নেতৃত্বের করিডোর থেকে সর্বশেষ যে খবর পাওয়া যাচ্ছে সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে, বিএনপি তাদের ওয়াদামতো ফ্যাসিস্ট-বিরোধী ১৫ বছরের সংগ্রামে যারা তাদের সাথে ছিল সেই মধ্যপন্থি বা আংশিক বাম ঘরানার সাথেও তাদের আসন ভাগাভাগি সম্পন্ন করতে পারেনি। সর্বশেষ খবর মোতাবেক, তাদের ফ্যাসিস্ট-বিরোধী সংগ্রামের সহযোদ্ধারা যতই ছোট হোক, বিএনপি ওয়াদা দিয়েছিল, নির্বাচন এবং সরকার তারা একসাথেই করবেন। তাদের সহযোদ্ধাদের দলভিত্তিক সংখ্যা ৫১। তাদের সাথে আসন ভাগাভাগি নিয়ে প্রবল টানাপড়েন চলছে বলে জানা গেছে। কোনো এলাকায় বিএনপি তাদের সংগ্রামের সাথী কোনো ব্যক্তিকে গ্রিন সিগন্যাল দিলেও সাথে সাথেই সেখানে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন বিএনপির একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী। তাদের সাথেও সিট অ্যাডজাস্টমেন্ট সম্পন্ন হওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একটি বিষয় খুব অপ্রিয় হলেও সত্য। যদি আওয়ামী সরকারের সাথে বিএনপি অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশ এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে নির্বাচন করত তাহলে বিএনপির জয়লাভ অনেক সহজ হতো। কারণ বস্তুত ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০১১ সালের মধ্যেই আওয়ামী লীগ দ্রুত জনপ্রিয়তা হারাতে থাকে। তাই ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ যে শ্বেত সন্ত্রাস এবং ভয়াল রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস করে তার ফলে বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হয়। বস্তুত ফ্রি ও ফেয়ার ইলেকশন হলে তখনই আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হতো।
এরপর আওয়ামী লীগের পায়ের তলা থেকে মাটি দ্রুত সরতে থাকে। তাই তারা ২০১৮ সালে রাতের ভোট এবং ২০২৪ সালে আমি ও ডামির নির্বাচন করে। আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি ফাঁকা মাঠে গোল দেবে বলে যে বিপুল আশাবাদ পোষণ করছে, সেটি বাস্তবে যে কতটুকু অন্তঃসারশূন্য সেটি বিএনপি এখনো বুঝতে পারেনি। তখন তো ছিল একদিকে আওয়ামী লীগ ও তার মেন্টর ভারত, অন্য দিকে ছিল বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোটসহ অন্যরা। জুলাই বিপ্লবে শুধু শেখ হাসিনাই পালাননি, তার ডানে-বামে যারা ছিল তারাও পালিয়েছেন। এমনকি পবিত্র বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা রুহুল আমিনও পালিয়েছেন। এটি প্রমাণ করে, একদিকে ছিল হাসিনা এবং তার লুটেরা গোষ্ঠী অন্যদিকে ছিল ১৮ কোটি মানুষ।
এখন সময় বদলে গেছে। যারা জুলাই বিপ্লবের অংশীজন তারাই এখন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। হাসিনার পলায়নের পরও জুলাই বিপ্লবের সব স্টেকহোল্ডার ঐক্যবদ্ধ থাকবে, সেটি বাস্তব নয়। বিএনপিকে ভাবতে হবে, কেন বাংলাদেশের চারটি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল উৎখাত হয়ে গেল। অথচ সাধারণ হিসাব মোতাবেক তো, এসব নির্বাচনে ছাত্রদলেরই জেতার কথা।
বিএনপির জন্য এখনো সময় আছে। জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, নেজামে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন এবং জাগপা এক হয়েছে। বলা বাহুল্য, যতই নির্বাচন এগিয়ে আসবে, ততই এসব দল নিজেদেরকে মুসলমানদের জোট হিসেবে চিত্রিত করবে। অবশ্য এদের বাইরেও রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক অনেক আলেম-ওলামা ব্যক্তিত্ব এবং সংগঠন আছে যারা স্থানীয়ভাবে খুব প্রভাবশালী। গত ২ নভেম্বর রোববার দৈনিক ইনকিলাবে অন্তত ১২ জন প্রখ্যাত আলেমের নাম দেয়া হয়েছে। এরা আপন ব্যক্তিত্বে এবং প্রভাবে নির্বাচনে জয়ী হতে পারেন।
এছাড়া সারা বাংলাদেশে মসজিদকেন্দ্রিক একটি সমাজ ও গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে। তাদের মধ্যে যারা সরাসরি রাজনৈতিক দল করে না তারা নির্বাচনের সময় ওইসব মসজিদের খতিব এবং গ্রামের মাওলানাদের পরামর্শ গ্রহণ করেন এবং সেই মোতাবেক ভোট দেন।
বিএনপি জামায়াতের নেতৃত্বাধীন সাত দল ছাড়াও বাংলাদেশের মফস্বলে এবং গ্রামেগঞ্জে যে ধর্মভীরু জনগণ রয়েছেন তাদের ভোট নিজেদের পক্ষে আনার কোনো প্রচেষ্টা করছে না বিএনপি।
বিএনপির অতীতেও একটি মানসিকতা ছিল। সেটি হলোÑ আওয়ামী-বিরোধী হলে বিএনপিকে ভোট না দিয়ে মানুষ যাবে কোথায়? এখন আবার ভাবছে, আওয়ামী লীগ নেই। তাই বলে কি জামায়াতকে ভোট দেবে? কিন্তু বিএনপি ভুলে যাচ্ছে, যদি দেশের বিশাল আলেম-ওলামা গোষ্ঠীকে উপেক্ষা করা হয় তাহলে তারাও যদি বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তাহলে চিত্রটি কেমন হবে? চিত্রটি হবেÑ ইসলামী ব্লক বনাম বিএনপি। এই বিষয়টি কি বিএনপি একবারও ভেবেছে? আমার তো মনে হয় তাদের জন্য ভাবার সময় দ্রুত পার হয়ে যাচ্ছে।
বিডিআর ম্যাসাকার নিয়ে বিএনপি উচ্চকিত নয়। শাপলা ম্যাসাকার নিয়ে বিএনপি উচ্চকণ্ঠ নয়। গুম এবং খুন নিয়েও বিএনপি সরব নয়। শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদি এবং অজিত দোভালের অনুমোদনে রয়টার্স, এএফপি এবং লন্ডনের ইনডিপেনডেন্টকে ইন্টারভিউ দিয়েছেন। হাসিনার মামলার রায়ের দিন এবং নির্বাচনের আগে ভারতে মস্তিষ্ক ধোলাই হওয়া কয়েক হাজার যুবক নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে বিএনপিকে সোচ্চার হতে হবে। সেই সাথে বজ্রকণ্ঠে বলতে হবেÑ একমাত্র ইসলামী মূল্যবোধই বাংলাদেশকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এবং ভারতীয় সা¤্রাজ্যবাদের কবল থেকে রক্ষা করতে পারে।