 
              বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসের আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে (এসিঅ্যান্ডএস) রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির ৪৪তম এবং আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোরের প্রথম বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।
এসিঅ্যান্ডএসে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধানকে অভ্যর্থনা জানান আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের জিওসি, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার, চট্টগ্রাম এরিয়া এবং কমান্ড্যান্ট, এসিঅ্যান্ডএস। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সম্মেলনে সেনাপ্রধান রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি ও আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোরের সকল কমান্ডার ও অধিনায়ককে উদ্দেশ করে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। তিনি উভয় কোরের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ও দেশসেবায় অবদানের কথা উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকতে উভয় কোরের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
বক্তব্য শেষে সেনাপ্রধান রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি ও আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি কোর দুটির প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গবেষণা, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের জিওসি; মহাপরিচালক, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর; ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার, সিলেট এরিয়া; ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার, চট্টগ্রাম এরিয়া; মাস্টার জেনারেল অব দি অর্ডন্যান্স, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী; চেয়ারম্যান, বেপজা; সিনিয়র ডাইরেক্টিং স্টাফ, এনডিসি; সেনা সদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা; কমান্ড্যান্ট, এসিঅ্যান্ডএস; বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব আর্টিলারি ও এয়ার ডিফেন্স ব্রিগেডের কমান্ডার; রেজিমেন্টগুলোর অধিনায়ক এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর এসিঅ্যান্ডএসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির দশম কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার, মহাপরিচালক, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। একই অনুষ্ঠানে আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোরের প্রথম কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান, মাস্টার জেনারেল অব দি অর্ডন্যান্স, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধানের এই আহ্বান বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও কৌশলগতভাবে আরও সক্ষম বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার ধারাবাহিক প্রচেষ্টারই প্রতিফলন।
 
       
                 
                
 
                                                  
                                                  
                                                  
                                                  
                                                 