আন্তর্জাতিক ৫০ জন পিএইচডি গবেষককে স্কলারশিপ দেবে লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজ। এ স্কলারশিপের কেতাবি নাম ‘প্রেসিডেন্টস পিএইচডি স্কলারশিপ’। যুক্তরাজ্যের ও বিশ্বব্যাপী স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী প্রতিভাবান শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ ৩ নভেম্বর ২০২৫।
সুযোগ-সুবিধা—
স্কলারশিপপ্রাপ্ত ৫০ জন শিক্ষার্থী সাড়ে তিন বছরে নানা সুবিধা পাবেন। যেমন:
*টিউশন ফি-র জন্য সম্পূর্ণ তহবিল। ফলে শিক্ষার্থীকে কোনো টিউশন ফি দিতে হবে না;
*জীবনযাত্রার খরচে সহায়তা করার জন্য প্রতিবছর ২৬,৫০০ পাউন্ড হারে উপবৃত্তি রয়েছে;
*অধ্যয়নের প্রথম ৩ বছরের জন্য বার্ষিক ২,০০০ পাউন্ড হারে একটি ভোগ্য তহবিল দেওয়া হবে;
*গ্র্যাজুয়েট স্কুলের ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে;
*এ ছাড়া ইমপেরিয়ালে স্নাতকোত্তরদের জন্য থাকা সেবাসমূহে সম্পূর্ণ পরিসরে অ্যাকসেস রয়েছে। পাশাপাশি পেশাদার দক্ষতা কোর্সের সুযোগও থাকবে;
আবেদনের যোগ্যতা—
*প্রার্থীদের অবশ্যই স্নাতকোত্তরে ডিস্টিংশন থাকতে হবে;
*এই স্কলারশিপের আওতায় এমন প্রার্থীরাও সুযোগ পাবেন, যারা স্নাতকোত্তর স্তরে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শন করেছেন, কিন্তু প্রথম শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেননি, তারা এই স্কিমে আবেদন করতে পারবেন;
*যুক্তরাজ্যের এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিভাবান প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন নেওয়া হবে। জাতীয়তার ওপর কোনো বিধি-নিষেধ নেই, যদিও কিছু বিভাগ আন্তর্জাতিক প্রার্থীদের ভর্তি করবে না;
*এই স্কলারশিপের আওতায় শুধু নতুন পিএইচডি আবেদনকারীরা পড়তে পারবেন। বর্তমানে ইমপেরিয়াল কলেজের পিএইচডিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য বিবেচিত হবেন না;
আবেদন যেভাবে—
এই স্কলারশিপের জন্য আলাদা করে আবেদন ফরম নেই। অনলাইন ভর্তি পদ্ধতির মাধ্যমে ইমপেরিয়াল কলেজে অধ্যয়নের জন্য ভর্তির আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। এরপর ভর্তি করা বিভাগ আপনাকে অ্যাকাডেমিক যোগ্যতা ও সম্ভাবনার ভিত্তিতে বৃত্তির জন্য প্রসেসিং করবে। ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য বৃত্তিনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশ মানতে হবে। কলেজের ওয়েবসাইট https://www.imperial.ac.uk/ -এর মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এ ছাড়া আপনাকে অবশ্যই পছন্দের বিভাগ দ্বারা বর্ণিত অতিরিক্ত যোগ্যতা পূরণ করতে হবে।
স্কলারশিপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।