Image description

চলতি মাসের শুরুতে নিজ ক্যাম্পাসেই পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননা করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল। পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। শুধু অপূর্ব পাল নয়, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া অন্তত ডজনখানেক শিক্ষার্থী কর্তৃক ধর্মীয় কটূক্তি ও অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। এ তালিকায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকও।

ইসলামিক স্কলার ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ধর্মীয় কটূক্তি ও অবমাননার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষকে আগামীতে এসব বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বর্তমান আইন যথেষ্ট কার্যকর নয়; এজন্য আরও কঠোর আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন বলে মনে করছে। 

তারা বলছেন, ঐতিহাসিকভাবেই এই অঞ্চলের লোকজন সব ধর্মকে সম্মান করে আসছেন। কিন্তু গত ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ শাসন আমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলামফোবিয়ার চর্চা করা হয়েছে। আর শিক্ষা কারিকুলাম এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যে, সেখানে ধর্মীয় ব্যাপারে কোনো জ্ঞান অর্জন করার কোনো সুযোগ ছিল না। পাশাপাশি শিক্ষা কারিকুলামে জড়িতদের একটি অংশে ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব ছিলেন। অন্যদিকে এসব ঘটনায় জড়িতদের দৃশ্যমান কোনো শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। ফলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।

চলতি সপ্তাহে ধর্মীয় অবমাননা ও কটূক্তির অভিযোগ উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় একজনকে ৬ মাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে আর একই ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এছাড়া আরেজনের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস।

জানা গেছে, ধর্ষণ ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের মামলায় কারাগারে থাকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্র শ্রীশান্ত রায়ের সঙ্গে ধর্ম অবমাননা ও হিজাব পরা নারীদের প্রতি যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে ঢাবির তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন আইবিএর বিবিএ-৩০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহতাজুর রহমান ও তাসনিয়া ইসলাম এবং ২০২১-২০২২ সেশনের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) শিক্ষার্থী বিভাগের আবরার ফাইয়াজ।

এর মধ্যে আবরার ফাইয়াজকে বুধবার (২৯ অক্টোবর) ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

 

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এ ঘটনায় একজনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে ডাকা হবে এবং বক্তব্য জানতে চাওয়া হবে। বাকি দুইজনের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন দেখে তাদের বিরুদ্ধে শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া আরও একজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ পেয়েছে প্রক্টর অফিস। এ বিষয়ে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সনাতন ধর্ম নিয়ে অবমাননার অভিযোগে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এটিও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগগুলো আসার সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায়, ব্যবস্থা নিতে গিয়ে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া আমার ক্ষমতা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করি।

গত সপ্তাহে ধর্মীয় অবমাননা ও নারী সহপাঠীকে ধর্ষণের অভিযোগে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাসের শ্রীশান্ত রায় নামে এক ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলার পর ওই শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওই ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

জানা গেছে, ঘটনার দিন রাতেই শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে বুয়েট প্রশাসনের মামলার পর ভোর রাত সাড়ে চারটায় বুয়েটের আহসান উল্লাহ হল থেকে শ্রীশান্ত রায়কে গ্রেফতার করা হয়।

গত ৫ অক্টোবর নিজ ক্যাম্পাসেই পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননা করেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল। এ ঘটনার পর ৮ তারিখে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তির দায়ে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) এক শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. মোনসের আলী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে ঘটনার দিন সকালে মোনসের আলী ইসলাম ধর্ম, আল্লাহ, মহানবী ও কোরআন নিয়ে কটূক্তিমূলক কথা বলেছেন অভিযোগ তুলে তাকে মারধর করেন একদল শিক্ষার্থী। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাকে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান। এসময় শিক্ষার্থীরাও মেডিকেল সেন্টারের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।

গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বহিষ্কার দাবি জানান। শিক্ষার্থীরা জানান, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ৮ম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর ফেসবুক আইডি থেকে সাকিব ফুয়াদ নামের এক ব্যক্তির একটি পোস্ট শেয়ার দেওয়া হয়। ওই পোস্টে মুসলিম সমাজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে কটূক্তি করে মন্তব্য করেন ওই শিক্ষার্থী। তার ওই পোস্ট ও কমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরে অভিযুক্তের বহিষ্কার দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করেন শেকৃবি শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা নানান স্লোগান দেন।

ড. মুফতী জাকারিয়া নুর, ইসলামিক স্কলার ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব 

গত ৬ আগস্ট ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্ম নিয়ে 'অবমাননা'র অভিযোগ উঠে। অভিযুক্ত আব্দুল মুহাইমিন ইসলামের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে তারা প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। লিখিত অভিযোগে হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা বলেন, অভিযুক্ত মুহাইমিন গত ৫ আগস্ট রাতে ‘ইবিয়ান পরিবার’ পেজে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মগ্রন্থ শ্রীমদ্ভাগবত গীতা এবং শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ পোস্ট করে। যা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমগ্র হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থাসহ স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুনের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি রাকসুতে নির্বাচিত হিজাবী নারী শিক্ষার্থীদের ছবি সংযুক্ত করে অধ্যাপক আ-আল মামুন লিখেছেন, 'এই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আমি এন্ডর্স করছি। কাল আমি এরকম ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পরে ও হাতে নিয়ে ক্লাসে যাবো। পরবো টু-কোয়াটার, আর হাতে থাকবে মদের বোতল। মদ তো ড্রাগ না! মদ পান করার লাইসেন্সও আমার আছে! শিবির আইসেন, সাংবাদিকরাও আইসেন!' তবে সমালোচনার মুখে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফেসবুক পোস্টটি ডিলিট করে দেন তিনি। পরে তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন।

শুধু বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নয়। স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীর মধ্যেও ধর্মীয় কটূক্তি ও অবমাননার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। গত ২৪ অক্টোবর রাজধানী মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র মো. শাহরিয়ার জামান রুপমকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার কারণে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষাবিদ, ইসলামিক স্কলার ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. মুফতী জাকারিয়া নুর দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, দেশে দীর্ঘদিন ধরেই ধর্মীয় কটূক্তি ও অবমাননার সংস্কৃতির চালু রয়েছে। এটার পেছনে অনেকগুলো উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে। এক অন্যতম কারণ হলো আমাদের দেশের শিক্ষা পদ্ধতি অর্থাৎ শিক্ষা কারিকুলাম এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে শিক্ষা কারিকুলামেরর মধ্যে ধর্মীয় ব্যাপারে কোনো জ্ঞান অর্জন করার কোনো সুযোগ নেই। তবে শিক্ষা কারিকুলামে বিষয়গুলো ছিল। কিন্তু  সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষা কারিকুলামের সঙ্গে সম্পৃক্তরা অনেই ছিলেন ইসলাম বিদ্বেষী। 

তিনি বলেন, এসব ঘটনায় রাজনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক দলগুলো মৌন সমর্থন দিচ্ছে। কারণ যখনই দেখা যায় ধর্মীয় কটূক্তি ও অবমাননা হয় তখন শুধুমাত্র আলেম-ওলামা এবং ইসলামপন্থীরাই বিরোধিতা করে এবং মিছিল করে প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু অন্যান্য যারা রাজনৈতিক দল আছে সে সমস্ত দলগুলো এ ব্যাপারে কোনো কথা বলে না। তাছাড়া ধর্মীয় কটূক্তি ও অবমাননার ঘটনাগুলো হওয়ার পরে কোনো দৃশ্যমান শাস্তি কাউকে দেওয়া হয় না। যদি দৃশ্যমান শাস্তিগুলো দেওয়া হতো, তাহলে পরবর্তীতে কেউ কখনো ধর্মীয় কটূক্তি ও অবমাননার ব্যাপারে  চিন্তা করতে পারত না।

ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, অধ্যাপক, জবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রক্টর এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ইসলাম এবং বিভিন্ন ধর্ম ধর্মীয় আনুষঙ্গিকতা নিয়ে পাশ্চাত্য জ্ঞানতত্ত্ব যে ধরনের ইসলামোফোবিয়াকে ছড়ানো হয়েছে বিশেষত আমেরিকার নাইন ইলেভেন ঘটনার পরে। সেটারই ধারাবাহিকতা বাংলাদেশে স্বৈরাচারী ১৫ বছরের শাসন আমলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই ধরনের ইসলামোফোবিয়ার চর্চা করা হয়েছে। সেগুলো বিরুদ্ধে ৫ই আগস্ট বা জুলাই বিপ্লবের পর এখনো সেই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ইসলাম ফোবিয়া/মুসলিম ফোবিয়ার বিভিন্ন জিনিস এখনো অনুষঙ্গ সক্রিয়। তো এগুলোর বিপরীতে ছাত্রজনতা এবং শিক্ষিত মহল এখন যথেষ্ট সচেতন।

তিনি বলেন, আমরা যে সংস্কার কর্মকাণ্ডের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। আশা করি দ্রুতই আমাদের চিন্তা এবং মননেও সেই ধরনের সংস্কার হবে। যদিও তা হতে একটু সময় নেবে। কারণ যেহেতু দীর্ঘদিন থেকে এক ধরনের ইসলাম বিদ্বেষী কার্যক্রম বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চর্চা করা হয়েছে এবং এগুলোকে এক ধরনের ট্রমাটাইজ করে মানুষের মধ্যে মানুষ ট্রমাটাইজ হয়েছে। সুতরাং সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে একটু সময় লাগবে 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. দিদারুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ঐতিহাসিকভাবেই এই অঞ্চলেরের লোকরা সব ধর্মকে সম্মান করে। সব ধর্মের মতে একটি পজিটিভ বার্তা আছে। আমাদের মতো দেশে আন্তঃধর্মীয় সহাবস্থানের ধর্মীয় বিশ্বাস ও গোষ্ঠীর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সম্প্রীতি এবং শান্তিপূর্ণভাবে একত্রে বসবাস করা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কিছু বিপদগামী এ বিষয়কে নড়িয়ে তুলছে। এ ধরনের অবস্থা সামাজিক অবক্ষয়ের লক্ষণ বলে তিনি মনে করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের ঘটনা আমাদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় কোন সময় কী ইস্যু তৈরি হয় সেটা বলা যাচ্ছে না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে বার্তা দেওয়া হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা সতর্ক হয়।