Image description

রংপুরের পীরগাছায় চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ ইয়াসমিন নাহার কাকলী হত্যার বিচার ও জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নেয় কাকলীর ছোট ছেলে আরাফাতও (৪)। এ সময় তাকে বুকে পোস্টার চেপে মায়ের হত্যার বিচার দাবি করে সবার সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তালের হাট বাজারে এলাকাবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কান্দি ইউনিয়নের রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, তালুক কান্দি, তালের হাটসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সভাপতি সাহেব উদ্দিন মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ঈসা মিয়া, ইউপি সদস্য রাজেক বেগ, বিএনপি নেতা আনিসুল ইসলাম ভুট্টু, সমাজসেবক আতাউর রহমান, মহিলা নেত্রী রুপসা বেগম ও নিহতের বাবা ইলিয়াস আলী খান।

বক্তারা বলেন, চাঞ্চল্যকর এই হত্যার এক মাস পার হলেও মূল আসামিরা এখনো ধরা পড়েনি। উল্টো তারা প্রভাব খাটিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। পুলিশ ঘটনাটিকে গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছে না।

 

তারা আরও জানান, দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের অংশ হিসেবে কান্দি ইউনিয়নে আবারও মানববন্ধনসহ প্রয়োজন পীরগাছা থানা ও এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

জানা যায়, উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তালুককান্দি গ্রামের ইলিয়াস আলী খানের মেয়ে ইয়াসমিন নাহার কাকলীর সঙ্গে একই গ্রামের আবু বক্কর মিয়ার ছেলে আবু রায়হানের ১৩ বছর আগে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের রিফাত ও আরাফাত নামে দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। সংসার করার এক পর্যায়ে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন স্বামী আবু রায়হান, এতে আপত্তি জানালে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ভোরে স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্য কাকলীকে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঘরে ফেলে পালিয়ে যায়—এমন অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার। পরে নিহতের বাবা পীরগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে পীরগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ঘটনার পর এজাহারভুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে। তবে ফরেনসিক রিপোর্ট না আসায় এটি হত্যা না আত্মহত্যা, তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।