Image description

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির নামে প্রতারণা ও অর্থপাচারের অভিযোগে শেখ হাসিনার অর্থমন্ত্রী আ হ ম কামালের (লোটাস কামাল) মেয়ে আদম ব্যবসায়ী নাফিসা কামালের প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

প্রায় ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে গত শনিবার গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি রুজু করা হয়েছে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে।

সোমবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নাফিসা কামাল ও তার প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনাল মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির নামে একটি সিন্ডিকেট গড়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন হাফিযুল বারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান (ইরভিং এন্টারপ্রাইজ), রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী (আমান এন্টারপ্রাইজ), জসিম উদ্দিন আহমেদ (আহাদ ইন্টারন্যাশনাল লি.), মো. আকতার হোসাইন (আক্তার রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি), শিউলী বেগম (মালয়েশিয়া বাংলাদেশ হোল্ডিংস প্রা. লি.), কাউসার মৃধা (মৃধা ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন) এবং মোহাম্মদ বশির (রাব্বি ইন্টারন্যাশনাল)।

তদন্তে আরও জানা গেছে, ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়কালে তারা পরস্পর যোগসাজশে মোট ৩১১১ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠায়। সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে অবৈধভাবে জনপ্রতি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়।

এছাড়া পাসপোর্ট, মেডিকেল, কোভিড পরীক্ষা ও পোশাক বাবদ প্রতি কর্মীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়া হয়। ফলে সরকার নির্ধারিত ফি-এর বাইরে প্রতি কর্মীর কাছ থেকে গড়ে ১ লাখ ৭ হাজার ৫১০ টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হয়। সব মিলিয়ে অবৈধভাবে আদায়কৃত অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ টাকা।

সিআইডি জানিয়েছে, মামলাটি বর্তমানে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তদন্ত করছে। অভিযুক্তদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, জড়িত অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের লক্ষ্যে সিআইডির সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।