Image description
 

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে গ্রেপ্তার শামীম ওসমানের অন্যতম সহযোগী আজিজুর রহমান আজিজকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

 

সোমবার দুপুরে ঢাকার একটি আদালত আজিজের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে রবিবার বিকালে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে দেশত্যাগের চেষ্টাকালে গ্রেপ্তার হন আজিজ। ইমিগ্রেশন পুলিশ ও দর্শনা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে ঢাকার তেজগাঁও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।

গতবছরের সেপ্টেম্বরে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা হয়। ওই মামলায় এজাহারনামীয় আট নম্বর আসামি আজিজ। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ তাকে আদালতে তোলা হয়।

 

তেজগাঁও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পুলিশ কমিশনার রাকিব খান জানান, আজিজকে আজ সকালেই আদালতে তোলা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

 

রিমান্ড চাওয়া হবে কি-না জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী দুই একদিনের মধ্যে আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে।’

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে দীর্ঘদিন পলাতক থাকা আজিজ দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাবার চেষ্টা চালাচ্ছিলো। সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজি, লুটপাট, জাল-জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অর্ধ-ডজনের বেশি মামলা আছে আজিজের বিরুদ্ধে। নিজের আপন ভাইদের সঙ্গেও জাল-জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবৈধ উপায়ে বিপুল সম্পদশালী হয়েছেন তিনি। গুলশান, বনানী, নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বিপুল সম্পদ গড়েছেন তিনি।

এদিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় হওয়া চাঁদাবাজির মামলায় এজাহারনামীয় আসামি আজিজ। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ। রবিবার আজিজ প্রসঙ্গে ডিবি তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রাকিব খান গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমরা স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করেছি। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।'

ওই মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এরশাদ গ্রুপের তেজগাঁও গোডাউন থেকে বিপুল মালামাল লুট ও মোটাঅঙ্কের চাঁদা নিয়ে আসছিল আজিজসহ তার সহযোগীরা। এই ঘটনায় গতবছরের সেপ্টেম্বরে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা হয়। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৩০ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়।

গ্রেপ্তার আজিজ এরশাদ গ্রুপের নারায়ণগঞ্জে গড়ে তোলা রড তৈরির কারখানার মেশিনারিজ ও মালামাল লুটের সঙ্গেও জড়িত। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা রয়েছে। বর্তমানে যা তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। এবি ব্যাংক থেকে ২০০ কোটি টাকা নিয়ে গড়ে তোলা ওই কারখানা দখল নিতে প্রথমে এরশাদের গ্রুপের চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলা ফাঁসিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে শামীম ওসমান, আজিজসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা কারখানাটিতে লুটপাট চালায়। সেখানে এখন শুধু জমি পড়ে রয়েছে।