সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন বলেছেন, ‘দু-একটা কথা নিয়ে মৃদু হাসাহাসি হয়েছে। কিন্তু তা বাজেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে কিছু ইউটিউবে।’ সোমবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় চলা সরাসরি সম্প্রচার থেকে কেটে নেয়া একটি ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে আপত্তি জানান আমির হোসেন। বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আরও কয়েকটি মামলায় স্টেট ডিফেন্স হিসেবে লড়ছেন তিনি।
ট্রাইব্যুনালের বিচারিক স্বচ্ছতা নিয়ে জানতে চাইলে আমির হোসেন বলেন, ‘যারা ক্যাঙারু বলেন—এটা তাদের ব্যাপার। তবে আমি মনে করি না অস্বচ্ছতার কোনো কিছু আছে। কারণ এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের কোনো পক্ষ আমাকে কোনোভাবে চাপ দেয়নি। কেউ বলেননি যে, এটা বলবেন না, এটা করবেন না। এভাবে কখনোই কেউ কিছু করেননি। অতএব এই কোর্ট ক্যাঙারু কি—না এই প্রশ্নের আমি জবাব দেবো না। আমি মনে করি না যে, এই কোর্ট কোনো ক্যাঙারু। কারণ আমাকে কেউ কোনো বাধার সৃষ্টি করেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি লার্নেড কোর্টে (ট্রাইব্যুনাল) কিছু বক্তব্য দিয়েছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই বক্তব্যটি বাজেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে আমি নিন্দা জানাই। লার্নেড কোর্ট আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, আপনি যে সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন আপনার আসামি খালাস পাবেন। এটা আপনি কীভাবে বললেন। সে প্রসঙ্গে কোর্ট লর্ডশিপদের বলেছি সাংবাদিকরা যখন আমাকে প্রশ্ন করেন—আপনার আসামির কনসিকুয়েন্স বা প্রত্যাশা কি। সেক্ষেত্রে আমি এ কথা বলেছি। এটা আমার প্রফেশনাল দায়িত্ব।’
তিনি আরও বলেন, ‘লার্নেড কোর্টে আরেকটা কথা বলেছি যে, আমি যদি বলি আমার আসামি খালাস পাবেন না—সেটা কি সঠিক হবে। সেটা কি বলতে পারি। এটা বললে লার্নেড কোর্ট আমাকে যে নিয়োগ দিয়েছেন তাহলে দেশের মানুষ মনে করবে যে, এমন আইনজীবী দিলাম যিনি আসামির ফাঁসি বা সাজা হবে বলছেন। সেই প্রসঙ্গে দু-একটা কথা নিয়ে মৃদু হাসাহাসি হয়েছে। কিন্তু তা বাজেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে কিছু ইউটিউবে। এক শ্রেণির অসাধু ইউটিউবাররা বিভিন্নভাবে বিকৃত করেছে।’ ভবিষ্যতে এমন কোনো কথা না লেখার জন্য অনুরোধ করেন এই আইনজীবী।