ঈশ্বরদীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের নামে চাঁদা না পেয়ে লোহা ব্যবসায়ী পিতা-পুত্রের ওপর হামলা চালিয়ে দোকানের ক্যাশ থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী পিতা-পুত্রসহ দোকানের কর্মচারীদের মারধর করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) রাতে ঈশ্বরদী পৌর এলাকার আলহাজ মোড়ে আকাশ আয়রন স্টোরে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন— লোহা ব্যবসায়ী মো. স্বপন ওরফে মাথা (৫২) ও তার ছেলে মো. কাওসার আহমেদ আকাশ (২২) সহ দোকানের কর্মচারীরা।
ব্যবসায়ী মাথা ঈশ্বরদী দরিনারিচা থানাপাড়ার বাসিন্দা। বর্তমানে তারা ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী মাথা ৩ জনকে নামীয় এবং অজ্ঞাত ৫/৭ জনকে আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, ‘রাতে নিজেদের দোকানে ব্যবসায়িক কাজে ব্যস্ত ছিলেন তিনি এবং তার ছেলে আকাশ। এ সময় ঈশ্বরদী পৌর ৯নং ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি তারেক হোসেন, যুবদল কর্মী শাহিন, নাসিরসহ আরও ৫/৭ অজ্ঞাত ব্যক্তি দোকানে এসে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে আসামিরা দোকানে প্রবেশ করে আমার এবং আমার ছেলের ওপর হামলা চালায় এবং দোকানের ক্যাশ থেকে নগদ ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।’
ঘটনার পর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার সরকার বলেন, ‘ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি। থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে, হামলাকারীদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। খুব দ্রুতই আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী সমাজের দাবি, এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে দ্রুত প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
অভিযুক্ত যুবদল কর্মী শাহিন হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমরা দোকানে গিয়েছিলাম কিন্তু টাকা লুট করিনি। আমাদের কেউ টাকা লুটের সঙ্গে জড়িত নয়, যুবদল নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।