Image description

Sabina Ahmed (সাবিনা আহমেদ)

খালেদ মহিউদ্দিনের টকশো হাসিনাত্তোর নতুন বাংলাদেশে সকলের দ্বারা বয়কট করা অবশ্য কর্তব্য। এই ব্যক্তি জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তাদের স্মৃতির প্রতি অবমাননা করেছে। এমন মানুষের প্ল্যাটফর্মকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া যায় না।
 
যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিসি) গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মামলা চলছে, যে হাসিনা জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার রক্তে হাত রাঙিয়েছে, সেই খুনি হাসিনার সঙ্গে আইন ভেঙে কথা বলার নোংরা খায়েশ দেখিয়েছে খালেদ মহিউদ্দিন। এমনকি, জুলাইয়ের বীর বিপ্লবীদের নিয়ে সে হাসতে হাসতে কটাক্ষ করেছে, তাদের ত্যাগকে ঠাট্টার ছলে উড়িয়ে দিয়েছে। এটা কি কোনো সাংবাদিকের কাজ? এটা কি সেই জনতার প্রতি ন্যূনতম সম্মান, যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জীবন দিয়েছে?
 
খালেদ মহিউদ্দিন প্রকাশ্যে বলেছে, সে আইনের তোয়াক্কা না করে হাসিনার ইন্টারভিউ নিতে চায়। এমন বুদ্ধিজীবীই ফ্যাসিবাদের পৃষ্ঠপোষক, এরাই স্বৈরাচারের সেবাদাস। মুখে মাঝেমধ্যে সুশীল কথাবার্তা বললেও, এদের ভেতরে কোনো নৈতিকতা নেই, আইনের শাসনের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা নেই। নিজের স্বার্থ আর প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখার জন্য এরা যেকোনো নীচতার দ্বারস্থ হতে পারে। জুলাইয়ের বিপ্লবীদের ত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে এমন লোকেরা আবারো ফ্যাসিবাদীদের প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার চক্রান্ত করছে।
 
এই খালেদ মহিউদ্দিনের কোনো অনুষ্ঠান আর দেখার কোনো রুচি নেই। তার বাকপটুতা আর মিথ্যা সুশীলতার মুখোশ খুলে গেছে। জুলাইয়ের শহিদদের রক্তের দাবি এই যে, এমন বিশ্বাসঘাতকদের আর কোনো জায়গা দেওয়া হবে না।
 
জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি রক্ষায়, নতুন বাংলাদেশের জন্য, খালেদ মহিউদ্দিনের প্রতিটি প্ল্যাটফর্ম বয়কট করা জরুরি। এটাই হবে শহিদদের প্রতি আমাদের সত্যিকারের শ্রদ্ধা। আর তা না হলে, আজ খালেদ মহিউদ্দিন, কাল আরেকজন, পরশু আরও একজন হাসিনাকে মানুষের কাছে নরমালাইজ করার প্রচেষ্টা করবে। এদেশের স্বার্থেই এমনটি হতে দেয় যাবে না।
গুডবাই, খালেদ মহিউদ্দিন।