Image description
বিআরটিসি’র বাস

জনগণের টাকায় বাস কেনা হয় সাধারণ মানুষের চলাচল সহজ করতে। কিন্তু এই বাস আর সাধারণের কাজে লাগে না। এই বাস চুক্তিতে ভাড়া দেয়া হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে। এটি হলো বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন-বিআরটিসি’র চিত্র। সংস্থাটির বহরে এখন ১ হাজার ২০০টি যাত্রীবাহী বাস রয়েছে। এর মধ্যে ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ বাস বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যাত্রী পরিবহনের জন্য ব্যবহার হচ্ছে। অর্থাৎ এই বাসগুলো চুক্তিভিত্তিক সেবা দিচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। ৫০০ বাস এই ধরনের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। বিআরটিসি জানিয়েছে, সংস্থাটির বাস বহরে অচল ১৬টি বাস রয়েছে, যেগুলো অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হলে সংস্কার করে যাত্রী পরিবহনের জন্য ছেড়ে দেয়া হবে। তথ্য থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালে বিআরটিসির বহরে মোট ১ হাজার ৪৩৫টি বাস ছিল। সেখানে চলার উপযোগী বাস ছিল ৯৩৭টি। ২০১৯ সালে ১ হাজার ৮৫৪টি বাসের মধ্যে সড়কে চলতো ১ হাজার ২৯টি বাস। ২০২০ সালে ১ হাজার ৮২৫ বাসের মধ্যে ৮২৫টি বাস চলাচল করতে পারতো। পরিসংখ্যান বলছে, বিআরটিসির বাস বহরে সূচক নেমে কমছে বাসের সংখ্যা। আবার পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেসরকারি বাসে পরিবহন নির্ভরতা। বিআরটিসির বহরে স্বল্প পরিমাণ বাস রয়েছে, এর মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে বাস চুক্তিতে ভাড়া দেয়াকে সরকারি অর্থের  অপচয় বলে মনে করছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। আবার, বিআরটিসি বলছে, দেশে পরিবহন সংকট আছে, বিআরটিসির নিজস্ব যানবাহনের সংখ্যাও খুবই সামান্য, কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে ওই নির্দিষ্ট পরিমাণ গাড়ি চুক্তিতে ভাড়া দিতে হয়। 
গত জুনে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে পরিবহন খাতের উন্নয়ন বিষয়ক এক সভা হয়। সেই সভায় উপস্থাপিত তথ্য থেকে জানা যায়, দেশে গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এমন বাসের সংখ্যা ৫৬ হাজার ৭৩৩। সেখানে মিনিবাস রয়েছে ২৮ হাজার ৫৬১টি।  এর মধ্যে ভাড়ার বিনিময়ে নির্দিষ্ট রুটে যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত ২৩ হাজার ৬৬৫টি বাস, ১১ হাজার ৯০৫টি মিনিবাস। হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশের মোট গণপরিবহনে (বাস ও মিনিবাসের পরিমাণ হিসাব করলে) বিআরটিসি বাসের অবদান  মাত্র ২ দশমিক ১২ শতাংশ।   

দেশের স্থানীয় ও দূরপাল্লার যেসব বাস নিয়মিত যাত্রীসেবা দিচ্ছে সেসব বাসের বৃহৎ অংশই বেসরকারি বাস। সরকারি পরিবহন ব্যবস্থায় পর্যাপ্ত বাস না থাকায় যাত্রীরা বেসরকারি যানবাহনের ওপরই নির্ভরশীল। অন্যদিকে, দেশের জনসংখ্যার তুলনায় পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় প্রায়শই দূরপাল্লার বাসগুলোতে যাত্রীদের ভিড় লেগে থাকে। সময়ে-অসময়ে বেসরকারি বাসের যাত্রীরা ভাড়া বেশি নেয়ার অভিযোগও করেন। অন্যদিকে, সরকারি পরিবহনে প্রাচুর্যতা না থাকায় নানা সময়ে পরিবহন মালিকদের নানা দাবিতে নতি স্বীকার করতে হয় সরকারকে। সড়কে গণপরিবহনের ইকোনমিক লাইফ বা আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে গেলেও এগুলো সড়কেই চলাচল করে। বাস, ট্রাকসহ নানা ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনে ঠাঁসা দেশের সড়কগুলো। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বে আসার পর থেকে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন সরাতে। উদ্যোগ নিলেও সরানো সম্ভব হয় না ফিটনেসবিহীন কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন। বেসরকারি পরিবহনের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় পরিবহন মালিকদের নানা দাবি মানতে হয় সরকারকে। এই প্রেক্ষাপটে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন,  বিআরটিসির সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। সরকারি অর্থায়নে কেনা বাসের সম্পূর্ণ সক্ষমতা সাধারণ যাত্রী পরিবহনে ব্যবহার করতে হবে। যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রার জন্য যাত্রী পরিবহনের জন্য বাসের বরাদ্দও বাড়ানো প্রয়োজন। বিশেষ করে, পরিবহন খাত সংশ্লিষ্টদের নানা সময়ে অযৌক্তিক দাবিগুলো সরকারকে মানতে হয়, পরিবহন ধর্মঘটের হুমকির মুখে দাবি মানতে হয়। ফলে বিআরটিসির সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি বলে মনে করছে তারা। সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, বিআরটিসি বাড়তি মুনাফা অর্জনের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে সরকারি এই বাসগুলো চুক্তি দিয়ে থাকে। তাছাড়া চুক্তি দেয়া বাসসমূহ দীর্ঘক্ষণ না চালিয়ে বসিয়ে রেখে সরকারি অর্থের অপচয় হিসেবেও দেখছেন কেউ কেউ।  

অন্যদিকে, বিআরটিসির কিছু কর্মকর্তা বলছেন, বিআরটিসির গণপরিবহনের যাত্রী পরিবহনের চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্টাফ বাস হিসেবে বাস চালনায় আর্থিক লাভের পরিমাণ বেশি থাকে। অর্থাৎ, এটি বিআরটিসির বাণিজ্যিক লাভের জন্য উদ্যোগ। কর্মকর্তারা বলছেন, গণপরিবহনে যাত্রী বহনের চেয়ে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের হয়ে ভাড়ায় পরিচালনা করলে লাভ নিশ্চিত হয়, আর্থিক স্বচ্ছতাও থাকে। তাছাড়া বিআরটিসির কিছু কিছু গাড়ি পুরাতন হয়ে যাওয়ায় সেগুলোর কর্মদক্ষতা কমে যায়, ফলে সেগুলো এই সকল খাতে ব্যবহার করা যায়।  বিআরটিসি থেকে বলা হয়, যে সকল প্রতিষ্ঠানে বিআরটিসির গাড়িগুলো ভাড়া দেয়া হয়, তাদের পরিবহনের মাধ্যমেও যাত্রীসেবা দিচ্ছে বিআরটিসি।  

সারা দেশে ২২টি বাস ডিপো ও দুটি ট্রাক ডিপোর অধীনে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে সরকারি এই সংস্থা। 
বিআরটিসি’র তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, লোকসানের সরকারি খাত হিসেবে বিআরটিসি অন্যতম। ২০১৭ থেকে ২০২০ সালে পুরোপুরি লোকসানে ছিল সংস্থাটি। ২০২০-২১ অর্থবছরে লাভের মুখ দেখা যায়। বিআরটিসি’র আয়-ব্যয়ের রেকর্ড বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিআরটিসি’র আয় ছিল ২৫৩ কোটি ১৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা, ব্যয় হয় ২৫৮ কোটি ৫২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। পরের অর্থবছরে ২৫৯ কোটি টাকা আয় হয়, ব্যয় হয়েছে ২৬৬ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩১৬ কোটি টাকা আয় হয়েছে বিআরটিসি’র। সেবার ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৩১৯ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে বিআরটিসি’র আয়-ব্যয় ছিল প্রায় সমান সমান। ওই বছর প্রায় ৩৪৬ কোটি টাকা আয়ের বিপরীতে ৩৪৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়। পরের বছর প্রায় ৪৭৬ কোটি টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয় ৪৪০ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ৬৩২ কোটি টাকা আয় হয়। ব্যয় ৫৮৪ কোটি টাকা। বিআরটিসি কর্মকর্তারা বলছেন, এই আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখতে বিআরটিসি’র উদ্যোগ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বাস ভাড়া দেয়ার পরিকল্পনা। বিআরটিসি’র গত ১০ বছরের অর্থ ও হিসাব বিভাগের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি টানা লোকসান গুনেছে। তিন বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে লাভ বাড়ছে। 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ হাদিউজ্জামান মানবজমিনকে বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিআরটিসি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যারা ব্যবসা করেন তাদের পথ দেখানোর কথা, তাদের মডেল হিসেবে কাজ করার কথা। কারণ তাদের আয়-ব্যয়ের চিন্তা নেই। জনগণের অর্থে তারা বাস কেনে, মেরামত করছে। বিআরটিসি এই জায়গায় পুরোটাই ব্যর্থ। সড়কে গণপরিবহনের হাহাকার, ভালোমানের গণপরিবহন নেই। এই লক্কড়ঝক্কড় বাসের মাঝেও এখনো ৪০ শতাংশ মানুষ পুরোপুরি গণপরিবহনের উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিআরটিসি বাসগুলো ইজারা দিয়ে রেখেছে। সেখানে আয়ের আশায় বিআরটিসি বাসগুলো ভাড়া দিয়ে রাখছে। সকালে এক ট্রিপ, বিকালে এক ট্রিপ করে চলছে। সারা দিন বাসগুলো পড়ে রয়েছে। এটা অর্থের অপচয়। এই বাসগুলো সড়কে থেকে জনগণের সেবা দেয়ার কথা। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এভাবে ভাড়া দিয়ে বিআরটিসি অত্যন্ত লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে এমনটিও না। বিআরটিসি’র আয়-ব্যয়ের চিন্তা নেই যেহেতু তদের মূল লক্ষ্য হওয়ার কথা ছিল সেবা। বিআরটিসি মনে করছে এভাবে ভাড়া দিয়ে আয় করবে, সে আয় দিয়ে তারা লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে, এটা আকাশ-কুসুম চিন্তা। 

পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এম শামসুল হক মানবজমিনকে বলেন, বিআরটিসি’র মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আসলে সেবা দেয়ার জন্য আসেনি, এই প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রকিউরমেন্টের (ক্রয় বা সংগ্রহ) জন্য। সেবার জন্য যদি হতো, এখানে দায়বদ্ধ কিছু লোক থাকতো, গণপরিবহনের পেশাদার এমন কিছু লোক থাকতো। গণপরিবহন সেবা দেবে, কিন্তু গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ কেউ না থাকলে তারা সেবা কী করে দেবে? দিনে দুইটি ট্রিপ দেয়ার জন্য তারা একটি বাসকে এক জায়গায় বসিয়ে রাখছে। অথচ বাস কেনার সময় তারা বলেছিলেন জনগণকে পরিবহন সেবা দেবো। সরকারের উচিত বিআরটিসিকে জবাবদিহি করা যে, জনগণের অর্থায়নে বাস কিনে জনগণকে সেবা না দিয়ে এভাবে সারা দিন ফেলে রাখবে কেন? এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, রোলিংস্টক মানে এটি চলমান থাকবে, চললেই জনসেবা হবে, জনসেবা থেকে আয় সংগ্রহ করবে। এই সিস্টেমের বাইরে তারা এসব কাজ করে এবং অনেক সময় এগুলো অবৈধভাবে রাস্তায় রেখে জানজট তৈরি করে। এ ক্ষেত্রে তাদের কঠোরভাবে জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন। এভাবে জনগণের টাকায় গাড়ি কিনে অলস রেখে দেয়া স্পষ্টত অর্থের অপচয়।  

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, জনগণের টাকায় বিআরটিসি বাস কেনা হয়েছে জনগণের সেবা দেয়ার জন্য। ভাড়ায় ব্যবসায় করার জন্য নয়। কিন্তু তাদের সরকার টাকা দেয় না এ জন্য ভাড়া দিয়ে সেখান থেকে কিছু নগদ টাকা হয়, সেই টাকা দিয়ে তারা চলে। এটা রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা। বিআরটিসি ব্যবসায় করার জন্য গড়ে উঠেনি। এটি সাধারণ মানুষের পরিবহন সেবা দেয়ার জন্য গড়ে উঠেছে। বিআরটিসি যা করছে সেটি সম্পূর্ণ অবৈধ। বিআরটিসি’র সক্ষমতা নেই। এটি রাষ্ট্রীয় পরিবহন সেবা প্রতিষ্ঠান। এটির সক্ষমতা যদি থাকতো তাহলে বেসরকারি বাস মালিকরা যা ইচ্ছা তাই করতে পারতো না। সেজন্য বিআরটিসিকে পরিবহন সক্ষমতায় আনতে হবে। এবং বিআরটিসি’র বাসগুলো ভাড়া দেয়ার পরিবর্তে সাধারণ মানুষের জন্য পরিবহন ব্যবস্থায় আনতে হবে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বিআরটিসিতে প্রায় ৩শ’র বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী, চালক আছে প্রায় ৪শ’। কিন্তু তবুও একটি গাড়িও তারা নিজেরা পরিচালনা করতে পারেন না। বিআরটিসি’র বাস কিনে আনার অল্পদিনের মধ্যে কেন গ্যারেজে পড়ে থাকতে হয়? এসব কারণেই। গণপরিবহনের লুটপাটের ভাগ অনেক উপরে চলে যায়। এখান থেকে যতক্ষণ বের হয়ে আসবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা যাত্রীসেবা পাবো না।   

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের পরিচালক আব্দুল লতিফ মোল্লা মানবজমিনকে বলেন,  বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে সমস্ত বাসগুলো দেয়া হয় সেগুলোও গণপরিবহনের আওতায় রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ওইরকম সক্ষমতা নেই বলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চাহিদা মোতাবেক সেখানে বাসগুলো আমরা দিয়ে থাকি। অনেক ক্ষেত্রে ওই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বা ভিসি আমাদের অনুরোধ করেন। আবার ইউজিসি থেকেও একটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে বাস নেই, সেগুলোতে বিআরটিসি থেকে যাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস দেয়া হয়। এই বাসগুলো দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারি লাভের দরের বাইরে গিয়ে আমাদের ভাড়া দিতে হয়।  

দ্বিতীয়ত, বিআরটিসি’র কিছু বাস আছে যেগুলো লং রুটের জন্য ফিট না। মোট ১৩শ’ বাসের মধ্যে কিছু বাস স্টাফ বাস হিসেবে চলে। গণপরিবহনের সংকট অবশ্যই আছে। ২০১৮-১৯ সালের দিকে সরকারের তরফ থেকে লোন করে আমাদের বাস দেয়া হয়েছে। এরপর আমরা নতুন করে কোনো বাস বহরে আনতে পারিনি। আমাদের চাহিদা অনুযায়ী ১ শতাংশ বাসও নেই। কখনো ছিলও না। 

বিআরটিসি’র পরিচালক আরও বলেন, স্টাফ বাস হিসেবে বা ভাড়া দেয়া গাড়িগুলো দিয়ে আমাদের বাড়তি লাভ করার সুযোগ নেই। বরং আমরা লোকসানে চালাই। বিআরটিসি’র গাড়িগুলো মাইলেজ করা আছে যে, একটি নির্দিষ্ট বাসে এই পরিমাণ আয় করতে হবে। পুরাতন বাসের মধ্যে যে বাসগুলো লং রুটে চলে না, কিন্তু আয় করতে হবে সেই বাসগুলোকে আমরা স্টাফ বাস হিসেবে ভাড়া দিচ্ছি।