আগামী তিন দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি নতুন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে, যা শক্তিশালী রূপ নিলে এর নাম হবে ‘মন্থার’।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণ ভারতের কেরালা, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলীয় অঞ্চল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) প্রকাশিত সর্বশেষ আপডেটে আইএমডি জানায়, সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে যা আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে এবং ২৭ অক্টোবর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
সম্ভাব্য সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। সেই সঙ্গে তিন ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছে, যদি ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ পরিবর্তিত হয়, তাহলে এর প্রভাব পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলেও দেখা দিতে পারে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘মন্থার’ রেখেছে থাইল্যান্ড, যার অর্থ “সুন্দর ফুল”।
উত্তর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৩টি দেশ—বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, ওমান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডসহ—বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (WMO) আওতায় ঘূর্ণিঝড়ের নাম নির্ধারণ করে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এ পরিস্থিতিতে বিশেষ বুলেটিন জারি করেছে। এতে উত্তর বঙ্গোপসাগরের গভীর সাগরে মাছ ধরতে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং উপকূলীয় এলাকাগুলোকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে গেলেও এর প্রভাব বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলেও পড়তে পারে।
তারা উপকূলীয় জনগণকে সচেতন থাকতে ও জরুরি প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।