Image description
 

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইনের মামলায় বুয়েটের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়ের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার করা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার ধারা সংযুক্তির আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।

 

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে গতকাল বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জামিনের বিষয়ে অধিকতর শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন বিচারক।

 

এদিন জামিন শুনানি করতে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। প্রথমে তার পক্ষে জামিন আবেদন করেও শুনানি করতে আদালতে হাজির হয়নি আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে সামাজিক যোগাযোগ আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেয় শ্রীশান্ত রায়। এ বিষয়টি আদালতের নজরে এনে আজ নতুন করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার ধারা সংযুক্তির আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন আদালত। তবে আদালতে জামিনের পিটিশন দাখিল করেও এদিন শুনানিতে অংশ নেয়নি আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। জামিন অযোগ্য ধারা যুক্ত হওয়ায় আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করি। শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।

 

এর আগে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করায় শ্রীশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয়টির নিরাপত্তা কর্মকর্তা আফগান হোসেন। ওইদিন রাতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভের মুখে শ্রীশান্ত রায়কে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলে অবস্থান করে ছদ্ম নাম 'উইকলি সার্ভিস ৯২৩' (ইংরেজিতে) আইডি ব্যবহার করে মুসলিম নারী ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে চলতি বছরের ৮ জুন থেকে ৭ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন লেখালিখি করে। সেখানে তার মন্তব্যসহ আরও অনেক অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ, ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য পোস্ট করেন। এ আসামি ছদ্ম নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবত মুসলিম নারী ও ইসলাম ধর্মীয় বিষয়ে অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ আপত্তিকর পোস্ট করে আসছে।

 

দীর্ঘদিন চেষ্টা করে ছদ্মনামে ব্যবহৃত আইডির প্রকৃত পরিচয়ধারী ব্যক্তি আসামি শ্রীশান্ত রায়কে শনাক্ত করা হয়। আসামির মুসলিম নারী সংক্রান্ত অশ্লীল মন্তব্য এবং ধর্মীয় ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।