Image description
 
 

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় সদ্য ঘোষিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নতুন কমিটিতে আওয়ামী লীগের নেতা থাকায় সমালোচনা শুরু হয়েছে। ঘোষণার মাত্র দুই দিন পরই স্থগিত করা হয়েছে ৪০ সদস্যের ওই কমিটি।

 

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী খাজা আমিরুল বাশার বিপ্লব এক বিজ্ঞপ্তিতে দর্শনা থানার নেহালপুর ইউনিয়নের কমিটি বাতিলের ঘোষণা দেন। 

খাজা বিপ্লব বলেন, স্থানীয়ভাবে একাধিক সূত্র ও ছবি দেখে নিশ্চিত হয়েছি যে, কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী সাইফুল ইসলাম আওয়ামী লীগের পদে আছেন। বিষয়টি আগে আমার জানা ছিল না। যাচাই-বাছাই শেষে স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি জানান, আগামী শনিবার জেলা কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ঘটনার সূত্রপাত সোমবার দর্শনা থানার নেহালপুর ইউনিয়ন এনসিপির নতুন কার্যালয় উদ্বোধনের দিন থেকেই। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের নেতা- সদর উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী মিজানুর আরেফিন, যুগ্ম সমন্বয়কারী আমির হোসেন সমীর, জেলা সদস্য তানভীর রহমান অনিক, দর্শনা উপজেলা সদস্য সোহেল পারভেজ এবং জীবননগর উপজেলা সদস্যসহ অনেকে।

কিন্তু উদ্বোধনের কিছুক্ষণের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সাইফুল ইসলামের অতীত রাজনৈতিক পরিচয়। জানা যায়, তিনি এখনো নেহালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন। বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর জেলা এনসিপির নেতারা অস্বস্তিতে পড়েন।

অন্যদিকে সদ্য ঘোষিত কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী তুহিন বলেন, হ্যাঁ, সাইফুল আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তবে তিনি এখন এনসিপিতে কাজ করতে চান। এটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কেউ যদি দল পরিবর্তন করতে চান, সেটা তার রাজনৈতিক অধিকার। 

তুহিন দাবি করেন, তারা এখনো কমিটি স্থগিতের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানেন না।