Image description
 

খাগড়াছড়ি সম্প্রতি এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটে সহিংসতার ঘটনাও। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এতে কেউ কেউ দাবি করেন, মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। কিন্তু এএফপি’র ফ্যাক্ট চেকে দেখা গেছে, ভিডিওটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘটনার। এটি থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার সেনাদের মধ্যে সীমান্তের একটি মন্দির এলাকায় তর্কের দৃশ্য।

ভিডিওটি প্রথমে ২০২৫ সালের ৪ অক্টোবর ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘আরাকান আর্মি মিয়ানমারের নাগরিকদের ধরতে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, তারা বাঙালি পরিবারে হামলা চালিয়েছে এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে।’ ভিডিওর সঙ্গে যুক্ত করা হয় ‘বান্দরবান বর্ডার’ হ্যাশট্যাগও।

তবে ভিডিওটি ওই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখা যায়, একই ফুটেজ থাই গণমাধ্যম দ্য নেশন ১৫ জুলাই প্রকাশ করেছিল। সেখানে জানানো হয়, এটি থাই ও কাম্বোডিয়ান সেনাদের মুখোমুখি অবস্থার দৃশ্য, যা সংঘটিত হয়েছিল দুই দেশের সীমান্তবর্তী খেমার মন্দির এলাকায়।

দুই দেশের মধ্যে মে মাস থেকেই সীমান্ত মন্দিরগুলোকে ঘিরে উত্তেজনা বাড়ে। জুলাইয়ে আবারও সংঘর্ষে অন্তত ৪৩ জন নিহত ও তিন লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হন। তবে মধ্য জুলাইয়ের ওই বিরোধের পর দুই দেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সমঝোতায় পৌঁছায়।

এএফপি যাচাই করে জানিয়েছে, বিতর্কিত ভিডিওটির সেনারা থাই ও কাম্বোডিয়ার পোশাক পরিহিত। ভিডিওতে যাদের কথা শোনা যায়, তারা খমের ভাষায় কথা বলছে। এএফপির এক ফটোগ্রাফার মার্চে একই স্থানে তোলা ছবিতেও একই পোশাক দেখা গেছে।

সুতরাং, ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশের কোনো সীমান্ত অনুপ্রবেশ বা আরাকান আর্মির হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। এটি থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়ার সীমান্ত মন্দিরের দুই দেশের সেনাদের তর্কের পুরনো দৃশ্য।