
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সিদ্ধান্তের পর কর্মসূচি স্থগিত করে বুধবার থেকে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দেন তারা। এদিকে আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পোষাতে বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত প্রতি শনিবারও ক্লাস নেবেন শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট সদস্যসচিব দেলোয়ার হোসেন আজিজী।
তিনি বলেন, গত ৮ দিন শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে যেতে পারেননি। এটা আমাদের ন্যায্য দাবি ছিল। বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত শনিবার স্কুল খোলা রাখবো। যে আট দিন শ্রেণিকক্ষে যেতে পারিনি, সেই আট দিন পুষিয়ে দেব।
দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, আমরা চিন্তা করেছি সরকার তো শুধু আমাদের নিয়ে না, শিক্ষকদের মধ্যে আরো গ্রুপ আছে, স্বতন্ত্র আছে, নন-এমপিও আছে, সরকারিদের আছে, বিশ্ববিদ্যালয় আছে, অনেকেরই দাবি আছে। আবার সরকারের বাইরে আরো অনেক পেশাজীবী আছে, সবার বিষয়টা দেখতে হয়। সেই জায়গা থেকে ওনারা আমাদেরকে অনুরোধ করেছেন আপনারা যদি এগিয়ে আসেন আমরা বসে সমাধান করতে চাই। আমরা কিছু ছাড় দিয়েছি ওনারা কিছু ছাড় দিয়েছেন। আমাদের বড় যে দাবিটা, আলহামদুলিল্লাহ এটা প্রায় পূরণ হয়ে গেছে। আমাদের বাড়িভাড়া এটা ১৫ শতাংশ করে প্রজ্ঞাপন করে আমার হাতে নিয়ে এসেছি।
সরকারকে মেডিকেল ভাতার ব্যাপারে ছাড় দিয়েছে জানিয়ে দেলোয়ার হোসাইন আজিজী বলেন, এটা আমাদের একটা বড় বিজয় আমি মনে করি। আমরা আন্দোলন করে সফল হয়ে প্রজ্ঞাপন নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। সরকারের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে এবং প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। আমরা এখন থেকে আমাদের আজকে আমাদের সব আন্দোলন কর্মসূচি আমরা প্রত্যাহার করছি।
এসময় বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে দুই ধাপে দেওয়া হবে এই অর্থ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত অনুমোদন দিয়ে জানানো হয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য চলতি বছরের নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া (ন্যূনতম দুই হাজার টাকা) এবং ২০২৬ সালের জুলাই থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ মোট ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়া কার্যকর হবে। এর সঙ্গে কিছু শর্ত যোগ করা হয়েছে।