Image description

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় হাত-পা-মুখ বাঁধা অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম দিদার (৩০) এক ছাত্রদল নেতা উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে নয়টায় উপজেলার কেন্দুয়া- আঠারবাড়ী সড়কের বড় কালিয়ান এলাকায় ঘটেছে। আহত দিদার ওই ইউনিয়নের মরিচপুর গ্রামের আজু মিয়ার ছেলে। তিনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় ইউনিয়নের কালিয়ান এলাকায় বাদল ভূঞার ইটখোলা পাশে ছাত্রদল নেতা দিদারকে হাত পা মুখ বাঁধা অচেতন অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে দ্রুত উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। রাত ১১টায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে অবজারভেশনে রাখেন। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

আহত দিদারের চাচাতো ভাই হাসান জানান, ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এরই জেরে বিরোধী পক্ষের কয়েকজন আগে থেকেই তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। ঘটনার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে দলীয় কোন্দল বা পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হামলা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এব্যাপারে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বোরহান উদ্দিন মোহাম্মদ তমজিদ বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন বিএনপির বর্ধিত সভা হবে। আমরা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি। এই বর্ধিত সভাকে বানচাল করার জন্য একটি পক্ষ এই ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আমার ধারনা। এটিকে আমি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেও দেখছি। সুষ্ঠু তদন্তে সাপেক্ষে দোষীদের শাস্তি দাবি জানান তিনি। 

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আহত দিদার এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। হাসপাতালেও পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ অভিযোগ করে নাই।’ তবে অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। 

এ ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, এবং স্থানীয় রাজনৈতিক মহলেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।