
আগামী জানুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। সংগঠনটি বলছে, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করার জন্য ১৪, ১৮ ও ২৪ সালের নির্বাচনের সাথে জড়িত গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা, ডিসি, এসপি, ইউএনও ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বর্তমান প্রশাসনকে পরিবর্তন না করলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের সাম্প্রতিক নানা অঘটন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চক্রান্ত ও চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত গণঅধিকার পরিষদের জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন ।
সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খাঁন বলেন, নির্বাচন বানচালের জন্য সাম্প্রতিককালে অগ্নিসংযোগে লিপ্ত হয়েছে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা। এভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে আরেকটি ১/১১ সৃষ্টির চক্রান্ত শুরু হয়েছে। নির্বাচন যতো দেরিতে হবে, ষড়যন্ত্র ততো বাড়বে। সুতরাং আগামী জানুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করার আহ্বান করছে গণঅধিকার পরিষদ। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পরিবেশ তৈরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই পরিবেশ তৈরিতে বর্তমান প্রশাসনকে পরিবর্তন না করলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভবপর নয়।
তিনি বলেন, একই সাথে নির্বাচন কমিশনকে পরিষ্কার করতে হবে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের কেউ নির্বাচনে ডামি মামি স্বতন্ত্র, অন্যদলের হয়ে কোনভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেনা। এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলও নির্বাচন করতে পারবেনা। আওয়ামীলীগের মত তাদেরও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র হাসান আল মামুন বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদ গভীর উদ্বিগ্ন। বিমান বন্দরে অগ্নি কান্ডসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানায় গণঅধিকার পরিষদ। গণঅধিকার পরিষদ মনে করে, পতিত স্বৈরাচার দেশ অস্থিতিশীল করতে এসকল অগ্নি কান্ড ঘটাতে পারে। তাই সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে বিষয়টি সঠিক তদন্তের আহ্বান জানায় গণঅধিকার পরিষদ। এছাড়াও দেশের বিমানবন্দর, স্থল বন্দর সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের আহ্বান জানায় গণঅধিকার পরিষদ।
তিনি বলেন, ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে, এটি দ্রুত বাস্তবতান চায় গণঅধিকার পরিষদ। আমরা শুরু থেকেই এই সরকারকে একনিষ্ঠভাবে অকুন্ঠ সমর্থন দিয়ে আসছি। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, সরকার সেই আশার প্রতিফলন দেখাতে পারেনি। আইন শৃঙ্খলা সহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অবনতির দিকেই যাচ্ছে।
হাসান আল মামুন আরও বলেন, বিগত শেখ হাসিনা সরকার এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছিলো। আমরা দেশে আর কোনো বিশৃঙ্খলা দেখতে চাই না। তাই আগামী জানুয়ারি মাসেই জাতীয় নির্বাচন দিয়ে, নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানায় গণঅধিকার পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, এডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম আজহার,ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রিদওয়ান উল্লাহ খান প্রমুখ।