Image description

পুরান ঢাকার আরমানিটোলা টিউশনিতে গিয়ে জবি ছাত্রদের নেতা জোবায়েদ হোসাইনের খুনের ১৩ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে। গতকাল রবিবার রাত ১টা থেকে তার পরিবার মামলা করার চেষ্টা করলেও সকাল সাড়ে ৬টা পেরিয়ে গেলেও জোবায়েদ খুনের মামলা হয়নি এখনও। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৭ টা পেরোলেও বংশাল থানায় খুনের শিকার জুবায়েদের পরিবার মামলা করতে সফল হয়নি।

বাদীপক্ষ জানায়, ওই ছাত্রী বর্ষা, বাবা-মা ও তার বয়ফ্রেন্ড মো. মাহির রহমান ও বয়ফ্রেন্ডের বন্ধু মো. নাফিসকে উল্লেখ করে মামলা দিতে চাইলেও বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম তা নিতে অস্বীকৃতি জানান। 

মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী জুবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমারা ওই ছাত্রী, তার বাবা-মাসহ ৫ জনের নামে মামলা দিতে চাইলে বংশাল থানার ওসি এত জনের নামে মামলা না দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। 

তিনি জানান, ওই মেয়ের বাবা মায়ের নামে মামলা দিলে নাকি মামলা হালকা হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা মামলায় তাদের নাম উল্লেখ করতে চাই। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই। 

জানা যায়, এ ঘটনায় মামলা করতে থানায় প্রায় ৭ ঘন্টা ধরে উপস্থিত রয়েছেন নিহত জুবাইয়েদ হোসাইনেত বাবা, বড় ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা। তবে এদিন রাত ১ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত নিহতের বাবা, বড় ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা মামলার প্রস্তুতি নিলেও থানায় ওসি না থাকায় বিলম্ব হয়। পরবর্তীতে ওসি আসলে মামলায় আসামি কমানোর পরামর্শ দেন ওসি।

এবিষয়ে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে রফিকুল ইসলাম বলেন, যে কয়েকজনের নামে মামলা দিতে চায় নেব, তবে তাদের বলেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে। 

 

এর আগে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বংশাল থানার সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তারা তাতীবাজার মোড় অবরোধ করে রাখে। রবিবার রাত ১১ টার দিকে ওই ছাত্রী বর্ষাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ ওই ছাত্রীকে হেফাজতে নেয়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। এদিন রাত ১১ টার সময় আরমানিটোলার নূরবক্স রোড়ের নিজ বাসা থেকে তাকে পুলিশ প্রটোকলে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। এর আগে রাত ১০ টা ৫০ এর সময় খুনের শিকার জোবাইদ হোসাইনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মিডফোর্ড হাসপাতালে নেয় পুলিশ। 

জানা যায়, জোবায়েদ হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯- ২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই সাথে তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন। গত এক বছর ধরে জোবায়েদ হোসাইন পুরান ঢাকার আরমানীটোলায় ১৫,নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামের বাসায় বর্ষা নামের এক ছাত্রীকে ফিজিক্স ক্যামেস্ট্রী ও বায়োলজি পড়াতেন। ওই ছাত্রী বর্ষার বাবার নাম গিয়াসউদ্দিন। এদিন আনুমানিক বিকাল ৪ টার ৪৫ মিনিটের দিকে ছাত্রীর বাসার তিন তলায় তিনি খুন হন। বাসার নিচ তলার সিড়ি থেকে তিন তলা পর্যন্ত সিড়িতে রক্ত পড়েছিলো। তিন তলার সিড়িতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।