
বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধি, চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক- কর্মচারীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম।
রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থানরত শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি।
এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগুন নিয়ে খেলবেন না। শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিন, না হলে এমন ঝড় উঠবে যা সরকার বইতে পারবে না।
সাদিক কায়েম বলেন, জুলাই গণ- অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল ইনসাফভিত্তিক, ন্যায়সঙ্গত বাংলাদেশ গঠন। অন্তর্বর্তী সরকার সেই স্পিরিটে গঠিত হলেও তাদের কার্যক্রমে এখন সেই মনোভাব দেখা যাচ্ছে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। জুলাইয়ের পরেও বেতন-ভাতার বৈষম্য রয়ে গেছে। উল্টো ফ্যাসিবাদী কায়দায় পুলিশের হামলায় শিক্ষকরা নিগৃহীত হয়েছেন।
ডাকসু ভিপি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা, আইন ও জ্বালানি উপদেষ্টাসহ অনেকেই শিক্ষক ছিলেন। অথচ তাঁরা এখন শিক্ষকদের কষ্ট বোঝেন না। যদি ন্যায্য দাবি মেনে নিতে না পারেন, তবে সরকারের পদে থাকার কোনো অধিকার তাঁদের নেই।
ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদসহ একটি প্রতিনিধিদল শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন।
মোসাদ্দেক আলী বলেন, বাংলাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা যে বেতন পান, উন্নত বিশ্বের সুইপাররাও তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বেতন পান। এটি একটি জাতীয় লজ্জা।