Image description
 

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন দেশটির অর্থনৈতিক সম্ভাবনার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোও অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করছে।

আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমানোর মূল তিনটি কারণ হলো মুদ্রানীতি কঠোর করা ও আর্থিক খাতের দুর্বলতার কারণে ঋণের প্রবাহ কমে যাওয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে সৃষ্টি অনিশ্চয়তা এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতা।

গত বৃহস্পতিবার অনলাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেন, আইএমএফ অক্টোবরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জিডিপির পূর্বাভাস কমিয়ে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ করেছে। এর আগে এপ্রিলে পূর্বাভাস ছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ, পরে জুনে তা কমিয়ে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ করা হয়েছিল। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে নিম্নমুখী করেছে।

বাংলাদেশের আর্থিক খাত নিয়ে তিনি বলেন, খাতে উল্লেখযোগ্য দুর্বলতা রয়ে গেছে। ফলে উদ্যোক্তারা প্রয়োজনমতো ঋণ পাচ্ছে না, যা প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করছে।

মূল্যস্ফীতির হার প্রসঙ্গে তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৮ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। তবে এটি মূলত সরবরাহের অভাবে সৃষ্ট।

আইএমএফের ৫৫০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি সম্পর্কেও তিনি জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান ঋণ কর্মসূচির পরবর্তী পর্যালোচনার জন্য শীঘ্রই একটি মিশন দেশে আসবে। তিনি বলেন, আর্থিক ক্ষেত্রে মূল সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া এবং রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ।

শীর্ষনিউজ