
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানস্থল থেকে বিক্ষুব্ধ জুলাই যোদ্ধাদের লাঠিচার্জ করে বের করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা অবস্থান করেছিলেন তারা।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে অবস্থান নেন বিক্ষুব্ধ জুলাই যোদ্ধারা। সনদে অবমূল্যায়ন, স্বীকৃতি না দেওয়া এবং আইনি ভিত্তি না থাকার অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।
পরে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ঘটনাস্থলে এসে জুলাই যোদ্ধাদের সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সনদের অঙ্গীকারনামা সংস্কারের ঘোষণা দেন।
প্রায় ৫ শতাধিক বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারী মূল মঞ্চ এবং অতিথিদের জন্য নির্ধারিত স্থানে বসে পড়েন। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, সনদ প্রণয়নে তাদের পরামর্শ নেয়নি সরকার। একই সঙ্গে স্বীকৃতি না দিয়ে করা হয়েছে অবমূল্যায়ন। ঘোষণাপত্রের মতো এখানেও আইনি ভিত্তি না থাকার অভিযোগ তাদের।
আন্দোলনকারীরা তাদের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিকে মঞ্চে জায়গা দেওয়ার দাবি জানান।
শুক্রবার দুপুর একটার কিছু আগে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত হন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজসহ কমিশনের সদস্যরা। হত্যার বিচার, জুলাই যোদ্ধাদের যথোপযুক্ত সম্মান, আর্থিক সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আশ্বস্ত করেন আলী রীয়াজ।
তবে আলী রীয়াজের বক্তব্যেও আশ্বস্ত হতে পারেননি জুলাই যোদ্ধারা। এরপরই শুরু হয় পুলিশি অ্যাকশন।
বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের। উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। তবে, জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সব দলের থাকা নিয়ে এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।