
স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের অপেক্ষায় বাংলাদেশ। জিডিপির আকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম অর্থনীতি। মাথাপিছু আয়ে বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশীদের অবস্থান এগিয়ে। বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি আমদানি-রফতানি তথা বৈদেশিক বাণিজ্য হচ্ছে। অর্থনীতিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে এগিয়ে থাকলেও আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশী পাসপোর্টের অগৌরব কাটছে না। বরং যত দিন যাচ্ছে, বৈশ্বিক অঙ্গনে বাংলাদেশী পাসপোর্ট আরো বেশি অপাঙ্ক্তেয় হয়ে উঠছে।
প্রতি বছর বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট ও ২২৭টি ভ্রমণ গন্তব্য নিয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচক প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। বছরের বিভিন্ন সময় এ সূচক হালনাগাদ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত ২০২৫ সালের সর্বশেষ (৭ অক্টোবর) পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশী পাসপোর্টের অবনমন ঘটেছে। বাংলাদেশের অবস্থান ১০০তম স্থানে নেমে গেছে। ২০২৪ সালের শুরুতে এ সূচকে বাংলাদেশী পাসপোর্টের অবস্থান ছিল ৯৭তম। বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ১০০তম অবস্থানে রয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা দেশ উত্তর কোরিয়া। এ দুটি দেশের নাগরিকরা এখন বিশ্বের ২২৭টি ভ্রমণ গন্তব্যের মধ্যে মাত্র ৩৮টিতে ভিসামুক্ত সুবিধা পাচ্ছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভিসামুক্ত গন্তব্যে প্রবেশের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ক্ষেত্রবিশেষে প্রবেশের অনুমতি না দেয়ার ঘটনাও ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে চালু হয়েছে প্রবেশের আগে অনুমতি নেয়ার নিয়ম।
২০২৪ সালে একজন বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী ভিসা ছাড়া ৪২টি দেশ ভ্রমণের সুযোগ পেতেন। কিন্তু ২০২৫ সালের অক্টোবরে এ সুযোগ ৩৮টি দেশে নেমে এসেছে। হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের সূচকে ২০২৩ সালে বাংলাদেশী পাসপোর্টের অবস্থান ছিল ১০১তম। তবে ওই বছর ভিসা ছাড়া বাংলাদেশীরা ৪১টি গন্তব্যে যেতে পারতেন। অন্যদিকে দুই দশক আগে, ২০০৬ সালে হেনলি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৬৮তম।
হেনলি পাসপোর্ট সূচক ২০২৫-এ বাংলাদেশের চেয়ে এখনো এগিয়ে আছে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত প্রতিবেশী মিয়ানমার, দেশটির অবস্থান ৯৬তম। একই অবস্থানে আছে আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়া ও যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন। আর দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষুদ্র দেশ ভুটানের অবস্থান আরো এগিয়ে, ৯২তম। প্রতিবেশী ভারতের অবস্থান ৮৫তম। বাংলাদেশের সঙ্গে তৈরি পোশাক ব্যবসায় প্রতিযোগী থাইল্যান্ডের পাসপোর্টের অবস্থান ৬৬তম।
পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান লজ্জার বলে মনে করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘ভুটান কিংবা মিয়ানমারের মতো দেশের পাসপোর্টের মান বাংলাদেশের তুলনায় বেশ ভালো। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের পাসপোর্টের মান যে পর্যায়ে নেমেছে, সেটি লজ্জার। কেন এ লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে আমরা পড়লাম সেটি দৃশ্যমান। পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা কোনো দেশের আকার কিংবা অর্থনীতির বিচারে হয় না। এটি নির্ধারিত হয় সে দেশের মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা ও আস্থার ভিত্তিতে। বাংলাদেশীরা বিদেশ যাওয়ার জন্য নানা জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে মিথ্যাচার হলে সে দেশের মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে না।’
সাবেক এ রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘একজন ব্যক্তির প্রতারণা কিংবা জালিয়াতির নেতিবাচক প্রভাব পুরো দেশ ও জাতির ওপর পড়তে পারে। বিরাজমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আমাদের সামাজিক ও নাগরিক মূল্যবোধ বাড়াতে হবে। দেশে যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না, সেদিকে সরকারের কোনো নজর দেখছি না। তরুণদের কাজ দিতে না পারলে তারা বিদেশে ছুটবেই। বৈধভাবে না যেতে পারলে সাগর সাঁতরাবে। এতে দেশের ভাবমূর্তি ও পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা আরো খারাপ হবে।’
আন্তর্জাতিক আকাশ পরিবহন সংস্থার (আইএটিএ) তথ্যের ভিত্তিতে গত ২০ বছর ধরে পাসপোর্ট সূচক প্রকাশ করছে হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। কোনো দেশের পাসপোর্ট দিয়ে আগাম ভিসা ছাড়া কিংবা ভিসামুক্ত সুবিধা নিয়ে কয়টি গন্তব্যে ভ্রমণ করা যায়, তার ওপর ভিত্তি করে শক্তিশালী পাসপোর্টের এ সূচক তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে বিশ্বের ১৯৯টি পাসপোর্ট ও ২২৭টি ভ্রমণ গন্তব্য বিবেচনায় নেয়া হয়। ২০০৬ সালে হেনলি পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশ ৬৮তম অবস্থানে ছিল।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্যানুসারে ২০২৫ সালে ৪৭৫ বিলিয়ন ডলার জিডিপির ভিত্তিতে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ৩৫তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা ভিয়েতনামের জিডিপি ৪৮৫ বিলিয়ন ও ফিলিপাইনের ৪৯৪ বিলিয়ন ডলার। অর্থনীতির আকারের দিক দিয়ে বাংলাদেশের সমজাতীয় হলেও পাসপোর্ট সূচকে দেশ দুটি বেশ এগিয়ে। এক্ষেত্রে ফিলিপাইন ৭৯তম ও ভিয়েতনাম ৯২তম স্থানে রয়েছে। অন্যদিকে জিডিপির আকারে বাংলাদেশের পরই রয়েছে মালয়েশিয়া ৪৭০ বিলিয়ন ডলার। অথচ পাসপোর্ট সূচকে দেশটির অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১২তম স্থানে। তাছাড়া বাংলাদেশের সমজাতীয় অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক প্রতিযোগী অন্য দেশগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ড (৬৬), ইন্দোনেশিয়া (৭০) ও কম্বোডিয়া (৯২) পাসপোর্ট সূচকে এগিয়ে রয়েছে। ৫৭৪ বিলিয়ন ডলার জিডিপির দেশ সিঙ্গাপুর পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষস্থানে রয়েছে। বিশ্বের ১৯৩টি গন্তব্যে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন দেশটির পাসপোর্টধারীরা।
মাথাপিছু জিডিপিতে তলানিতে থাকা দেশগুলোর পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতাও বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। হেনলির পাসপোর্ট সূচকে সর্বনিম্ন মাথাপিছু জিডিপির দেশ দক্ষিণ সুদান ৯৭তম, বুরুন্ডি ৯২তম, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ৯১তম, মাদাগাস্কার ৮৪তম এবং মালাউয়ি ৭১তম স্থানে রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ লিবিয়া (৯৯) ও ফিলিস্তিনও (৯৯) পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে অর্থনীতি বিপর্যস্ত হওয়া তিউনিসিয়ার পাসপোর্ট রয়েছে ৭৫তম স্থানে।
দক্ষিণ এশিয়া এবং নিকট প্রতিবেশীদের মধ্যে অধিকাংশই পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। এর মধ্যে মালদ্বীপ ৫৬তম, ভারত ৮৫তম, ভুটান ৯২তম, মিয়ানমার ৯৬তম এবং শ্রীলংকা ৯৮তম স্থানে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের নিচে থাকা দেশগুলোর মধ্যে নেপাল ১০১তম ও পাকিস্তান ১০৩তম স্থানে রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ পাসপোর্ট সূচকে কেবল এগিয়ে রয়েছে আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন ও সোমালিয়ার মতো দেশগুলোর চেয়ে।
বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশ এতটা পিছিয়ে পড়ার কারণ উদ্ঘাটনে সরকারকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। বণিক বার্তাকে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘আমার মনে হয় না, বাংলাদেশের পাসপোর্ট এতটা দুর্বল হওয়ার পেছনে অর্থনৈতিক কোনো কারণ আছে। বিশ্বের অনেক দারিদ্র্যপীড়িত ও ক্ষুদ্র অর্থনীতির দেশের পাসপোর্ট আমাদের চেয়ে শক্তিশালী। পরিস্থিতি এমনও নয় যে বাংলাদেশীরা বিদেশে গিয়ে গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। তাহলে কেন বাংলাদেশের পাসপোর্ট উত্তর কোরিয়ার কাতারে থাকবে!’
ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘পাসপোর্টের সূচক উন্নত না হলে আমাদের তরুণরা চাকরি কিংবা উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে বিদেশ যেতে পারবে না। উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশীদের বিদেশ যাত্রাও বন্ধ হয়ে যাবে। পাসপোর্টের সূচক কেন এত খারাপ সেটির কারণ উদ্ঘাটনের দায়িত্ব সরকারের। এ বিষয়ে ত্বরিত পদক্ষেপ নেয়া দরকার। এক্ষেত্রে কূটনৈতিক মিশনসহ আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়দায়িত্ব অনেক বেশি।’
গত কয়েক বছর বাংলাদেশী পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠেছিল ভিয়েতনাম। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি ঘুরতে গিয়ে বাংলাদেশীদের কেউ কেউ প্রতিবেশী কম্বোডিয়া বা লাওসেও যেতেন। তবে ভিয়েতনামে পর্যটক হিসেবে ঘুরতে যাওয়া বাংলাদেশীদের অনেকে আর দেশে ফেরেননি। কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে তাদের অনেকেই অবৈধ পথে ভিন্ন গন্তব্যে পাড়ি জমিয়েছেন; আবার কেউ সেখানেই ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ছোটখাটো কাজে যুক্ত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে ভিয়েতনাম। যদিও কয়েক বছর আগে ভিয়েতনাম কিংবা ইন্দোনেশিয়ায় যেতে বাংলাদেশীদের কোনো ভিসার প্রয়োজন হতো না।
বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা অনুমোদনে নানা শর্ত ও জটিলতা বাড়িয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া। এ তিন দেশে অনেক ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। গত কয়েক বছর পর্যটক হিসেবে এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে ঘুরতে গিয়ে অনেক বাংলাদেশী আর ফেরেননি। অবৈধভাবে তারা গন্তব্যের দেশে থেকে গেছেন কিংবা চোরাই পথে অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছেন। এসব কারণে এ অঞ্চলের দেশগুলোয় বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ইস্যু বন্ধ হচ্ছে কিংবা জটিলতা বাড়ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দেয় মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও অভিবাসী শ্রমিকের পাশাপাশি পর্যটন ভিসাও বন্ধ করে দেয় দেশটি। পরে বাংলাদেশীদের জন্য সীমিত পরিসরে ভিসা চালুর ঘোষণা দেয় আমিরাত।
চলতি বছরে ট্যাক্স ও অভিবাসন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নোমাড ক্যাপিটালিস্টের সূচকে বাংলাদেশী পাসপোর্টের অবস্থান ১৮১তম। ভিসামুক্ত ভ্রমণ, কর ব্যবস্থা, বৈশ্বিক ধারণা, দ্বৈত নাগরিকত্বের সক্ষমতা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা—এ পাঁচ মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা নোমাডের সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৩৮ বলে জানিয়েছে দুবাইভিত্তিক বৈশ্বিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটি। এ সূচকে কোনো দেশের স্কোর ৫০-এর নিচে থাকলে সে দেশের নাগরিক কোনো দেশ ভ্রমণ করলে স্থানীয়রা তাদের ভালোভাবে গ্রহণ করে না।
পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতার সঙ্গে দেশ ও জাতির গ্রহণযোগ্যতাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলে মনে করেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘কোনো দেশের পাসপোর্টের মান ও গ্রহণযোগ্যতা সে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। এ তিনটি সূচকের উন্নতি ঘটলে পাসপোর্টের সূচকও শক্তিশালী হয়। স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদেশীদের কাছে পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। জোর করে কিংবা কৃত্রিম উপায়ে পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো সম্ভব নয়। আমরা মনে করি, জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু হলে পাসপোর্টের মান বাড়বে। একই সঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি অর্থনীতিও সমৃদ্ধির পথে হাঁটার সুযোগ পাবে।’