Image description

জাতীয় নির্বাচনের আগে তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মশাল মিছিল ও সমাবেশ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়ে রায় সাহেব বাজার হয়ে বিশ্বজিৎ চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

বিক্ষোভকারীরা ‘তিস্তা পাড়ের কান্না, আর না আর না’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দেবে জনগণ’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’— ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সমাবেশে রংপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি সোহাগ আহমেদ বলেন, ‘আমরা উত্তরবঙ্গের মানুষ মঙ্গা হয়ে জন্মাইনি; আমাদের মঙ্গা করে রাখা হয়েছে। আমি সেই সন্তান, যার বাবার জমি ছয় মাস পানির নিচে ডুবে থাকে, আর মা খাবার দিতে না পেরে কাঁদেন। নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ দেখতে চাই।’

লালমনিরহাট জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি আজিজুর হাকিম আকাশ বলেন, ‘নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণার আগেই নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা পরিকল্পনার দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। তা না হলে শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নয়, পুরো ঢাকা শহর অচল করে দেওয়া হবে।’

নীলফামারী জেলা ছাত্র কল্যাণের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন স্বপন বলেন, ‘আমি সেই কৃষক বাবার সন্তান, যার ফসল ছয় মাসই পানির নিচে থাকে। আমাদের বলা হয় মঙ্গাপীড়িত, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমাদের ওপরই মঙ্গা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

শাখা শিবিরের সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, ‘তিস্তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি আছে, তা ২০২৬ সালে শেষ হবে। আমরা চাই এর আগেই নতুন চুক্তি করে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলার মানুষের জন্য পানি সরবরাহের নিশ্চয়তা দেওয়া হোক এবং সে জন্য আমরা আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো ইনশাআল্লাহ।’

জবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের মানুষের দুঃখ শেষ হবে না। নভেম্বরের মধ্যেই দৃশ্যমান উদ্যোগ নিতে হবে— এটাই আজ সারা বাংলাদেশের দাবি।’

মশাল মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জেলা কল্যাণ, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির সহ সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।