Image description

২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লং মার্চ করতে চেয়েছিলেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তবে হঠাৎ করে শেষ মুহূর্তে এ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আমাদের ফোন করেছিলেন। তারা আমাদের অনুরোধ করেছেন। তারা বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লংমার্চ করলে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হতে পারে। এছাড়া এখানে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রবেশ করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে আমরা নেতৃবৃন্দ নিজেরা আলোচনা করে আজকের জন্য লং মার্চ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে অনশন পালন শুরু করব। এরপরও যদি সরকারের আমাদের প্রতি দয়া না হয়, তাহলে আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করব। অনশন করতে করতে আমরা মরে যাব। তবুও আমাদের দাবি আদায়ে আমরা পিছপা হব না।’

অধ্যক্ষ আজীজি বলেন, ‘শুক্র এবং শনিবার এমনিতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। আগামী রবিবার থেকে সব বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি প্রতিষ্ঠানে লাগাতার কর্মবিরতি চলবে। কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হবে না। সবই বন্ধ থাকবে।’

এর আগে শিক্ষা উপদেষ্টাকে শিক্ষক নেতা আজীজি ১০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রজ্ঞাপনটা এমনভাবে করতে হবে যে এখনই ২০ শতাংশের কথা উল্লেখ থাকবে। তবে শিক্ষা উপদেষ্টা তাদের ৫ শতাংশ বাড়ানোর কথা বলেন। এই প্রস্তাব শিক্ষকরা প্রত্যাখ্যান করেন।

বৃহস্পতিবার শিক্ষকরা সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছিলেন। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে শিক্ষকদের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল উপদেষ্টার সঙ্গে সভায় বসেন। সভা শেষে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব বলেন, ‘ওনারা আলোচনার নামে আই-ওয়াশ করেছেন। আমরা শিক্ষা উপদেষ্টাকে বাবা বলে সম্বোধন করেছি। কান্না করেছি। বলেছি, আমাদের ডাল-ভাতের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু উনি তার বক্তব্যে অনড়। বলেছেন- এর বাইরে তিনি পারবেন না। আমরা বলেছি, এখন ১০ শতাংশ দেবেন, পররবর্তী বাজেটে ১০ শতাংশ দেবেন। পুরো বিষয়টি স্পষ্টভাবে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করতে হবে।’

 

মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়িভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। এতে সারা দেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নেন। কিন্তু সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তারা। লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি ছুড়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরদিন সোমবার থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলন করছেন তারা।