
প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তিনি নিজে ইতিহাস হয়ে, ইতিহাসকে বদলে দিয়েছেন। তিনি ইতিহাস বদলের কার্যক্রমের সূচনা্ করেছেন, যার ফলে ইতিহাস বদলে গেছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে বৃহস্প্রতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে পঞ্চম দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন কালে একথা বলেন তিনি।
ট্রাইব্যুনালে আন্দোলনে সময় আবু সাঈদ হত্যার ভিডিও প্রদর্শন করে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রদের রাজাকার বলে অবজ্ঞাসূচক মন্তব্য করার পর এর সারাদেশে প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হয়। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগ দিয়ে হামলা চালানো হয়। এর ধারাবাহিকতায় রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপরেও হামলা চালানো হয়। এই হামলায় আবু সাঈদ শহীদ হন। তাদের দাবি ছিল মেধার ভিত্তিতে চাকরি পাওয়া। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়, আবু সাঈদ এমন কোন ভঙ্গিতে ছিল না যে সে আক্রমণ করবে।
তিনি বলেন, নিরীহ-নিরস্ত্র ছাত্রদের ওপর গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি তারা। প্রথমে বলতে চায় মাথায় আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে;গুলিতে নয়। এরপর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পরিবর্তন করার চেষ্ট করে। ডাক্তারকে চাপ দিয়ে পাঁচবার ময়নাতদন্তের ফরেনসিক রিপোর্ট পরিবর্তন করে লেখানো হয়। এভাবে হত্যা করে তারা দায় এড়াতে নানান অপকৌশলের চেষ্ট করে। এ হত্যার জন্য তিনি সুপারিয়র নেতৃত্বের (সর্বোচ্চ কতৃত্ব) দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দায়ী করে এসব যুক্তি তুলে ধরেন। এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দেওয়ায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনাল নিবে বলে জানান তিনি। এই মামলায় পরবর্তী যুক্তিতর্কের জন্য আগামী ২০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
শীর্ষনিউজ