
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠেছে। মার্কিন ডলারের দুর্বলতা ও ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানোর কারণে এই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে উত্তেজনা এবং আমেরিকার সরকারি কাজ বন্ধ থাকার কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিকল্প হিসেবে স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছেন। এর ফলে বৃহস্পতিবার স্বর্ণের দাম নতুন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম শূন্য দশমিক সাত শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স চার হাজার ২৩৫ দশমিক ৪১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে বিশ্ববাজারে টানা পাঁচ দিন বাড়ল স্বর্ণের দাম।
আগামী ডিসেম্বরের জন্য মার্কিন স্বর্ণের দাম এক দশমিক দুই শতাংশ বাড়িয়ে চার হাজার ২৫২ দশমিক ৩০ ডলারে বিক্রি হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাণিজ্য নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন ঝামেলা বিশ্ববাজারে অনিশ্চয়তা বাড়াচ্ছে, তাই বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছেন।
ব্যবসায়ীরা মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ফেড) ডিসেম্বরে সুদের হার কমিয়ে দেবে। যখন সুদের হার কমে, তখন স্বর্ণ কেনা লাভজনক হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার টানা দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ থাকায় (অচলাবস্থা) দেশটির অর্থনীতিতে প্রতি সপ্তাহে প্রায় এক হাজার ৫০০ কোটি ডলারের (বা ১৫ বিলিয়ন ডলারের) মতো উৎপাদন ক্ষতি হতে পারে। এই ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণকে আরও বেশি নিরাপদ মনে করছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি সুদের হার কমানোর অর্থনৈতিক চাহিদা অব্যাহত থাকে তাহলে ২০২৬ সালের মধ্যে সোনার দাম পাঁচ হাজার ডলারে পৌঁছাতে পারে।
অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে, স্পট সিলভার শূন্য দশমিক চার শতাংশ কমে ৫২ দশমিক ৮৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে প্লাটিনাম শূন্য দশমিক নয় শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৬৬৯ দশমিক ৬০ ডলারে এবং প্যালাডিয়াম শূন্য দশমিক তিন শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৫৪০ দশমিক ২৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স