সবশেষ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে এর বাইরেও দেশের বিভিন্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে আরও প্রায় ৫ থেকে ৬টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেসব মামলা খারিজের জন্য কাজ করছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
গত ১৫ জানুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন আপিল বিভাগ। যার ফলে হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পান খালেদা জিয়া। এছাড়া আপিল করতে না পারলেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের খালাস দেন আদালত। হাইকোর্টের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৩৭টি মামলা ছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগই নাশকতা ও মানহানির মামলা। এসব মামলা হয়েছে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। শুধুমাত্র দুটি মামলায়ই খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছিল।
তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দিনই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা দুটিতে খালেদা জিয়ার সাজা মওকুফ করেন রাষ্ট্রপতি। খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে দুর্নীতির আরেকটি মামলা থেকেও। বিচারিক আদালতে কার্যক্রম চলছে আরও একটি দুর্নীতি মামলার।
চলমান মামলাগুলোর সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বর্তমানে বিচারিক আদালতে নাইকো দুর্নীতি মামলা চলমান রয়েছে, কুমিল্লায় ৩টি নাশকতার মামলা আছে। এর বাইরে ১/২টি মানহানি মামলা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মামলা রাজনৈতিক ও প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে দায়ের করা হয়েছে। কুমিল্লার মামলাগুলোর এজা হারে বেগম খালেদা জিয়ার নাম ছিলোনা। তারপরও চার্জশিটে তার নাম এসেছে। এসবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। কিন্তু তিনি (খালেদা জিয়া) সব সময়ই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা আশা করছি, আইনি মোকাবিলা করেই তার মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।’
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে এবং দমিয়ে রাখতে দেশের জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আদালতে মামলা করা হয়েছিল। আমরা আইনিভাবে সেসব মামলা মোকাবিলা করেছি। আরও যেসব মামলা রয়েছে, সেগুলো নিষ্পত্তির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা রাখছি, শিগগিরই এসব মিথ্যা ও হয়রানমিূলক মামলা থেকে তিনি মুক্ত হবেন।’