Image description
 

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, একসময়ের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ছিলো পাট। কিন্তু বর্তমানে এর চাহিদা আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই সম্পদকে আমরা ধরে রাখতে পারছি না।

তিনি বলেন, এই পাট শিল্পকে ব্যাবহারের জন্য আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে যেমন সুযোগ রয়েছে, তেমনি বাধা আছে। কিন্ত আমরা মূল্য বুঝতেছি না, এর জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী।

বুধবার বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) স্পিনার্স ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা যতদিন না বাস্তবতার আলোকে বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারবো, ততদিন আমরা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবো ও পিছিয়ে যাবো। আমার মতে আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে, নিজেদের মধ্যে উদ্ভাবনী চিন্তা আনতে হবে ও প্রয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে যা আমাদেরকে অন্যদের থেকে আলাদা করবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইঞ্জি. মো. জুলহাস উদ্দিন তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, পাট যেহেতু প্রাকৃতিক এবং পরিবেশ-বান্ধব ফাইবার। এটি নিয়ে বিস্তর পড়াশোনা এবং গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। শুধু চটের কিংবা শপিং ব্যাগই নয়, কীভাবে অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতেও পাটের ব্যবহার বাড়ানো যায় সেটি নিয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। আমি চেষ্টা করবো বুটেক্সে জুট ফাইবার নিয়ে একটি নতুন বিভাগ এবং গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করা। পাটের কাঁচামাল থেকে কীভাবে উন্নতমানের টেক্সটাইল পণ্য তৈরি করা যায় সেটির উপায় খুঁজে বের করতে হবে। তবেই পাটের যে হারানো গৌরব সেটি আমরা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবো।

অনুষ্ঠোনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর পরিচালক ড. নারগিস আখতার, ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম, আইইবি-এর সহ সভাপতি ইঞ্জি. খান মঞ্জুর মোরশেদ, আইটিইটি-এর আহ্বায়ক ইঞ্জি. আহসানুল করিম কায়সার, আইইবি-এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ইঞ্জি. মহিউদ্দীন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক রাশিদা আখতার খানম, ইঞ্জি. মহিউদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।