
বর্তমানে সম্পদ বলতে টাকা, সোনা বা জমিকে বোঝালেও, ভারতের জেরোধার সহ-প্রতিষ্ঠাতা নিখিল কামাত ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে আগামী দশকে এই ধারণা আমূল পরিবর্তিত হবে।
ইলেকট্রন ও শক্তি, অর্থাৎ বিদ্যুৎই বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান 'কারেন্সি' বা সম্পদ হয়ে উঠবে যা বিশ্বব্যাপী আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই ভবিষ্যদ্বাণীর মূল কারণ হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং ডেটা সেন্টারের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া। কারণ একটি নতুন ডেটা সেন্টার বছরে প্রায় ৪ লক্ষ বৈদ্যুতিক গাড়ির সম্মিলিত বিদ্যুৎ খরচের চেয়েও বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।
এই বিপুল চাহিদার কারণে একটি ডেটা সেন্টারের মোট পরিচালন ব্যয়ের প্রায় ৬৫% শুধুমাত্র কম্পিউটিং এবং কুলিংয়ের মতো বিদ্যুৎ-নির্ভর কাজেই ব্যয় হচ্ছে। যেখানে বর্তমানে ডেটা সেন্টারের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র (৩,৬৮০টি) শীর্ষে, সেখানে বিশ্বজুড়ে সার্ভারের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ চাহিদা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, গবেষণা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর ১০% কেবল এই ডেটা সেন্টারগুলোর জন্যই প্রয়োজন হবে। এই বাস্তবতার নিরিখে নিখিল কামাতের এই বক্তব্য ভবিষ্যতের সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বা শক্তিকে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় তুলে ধরে এক গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।