রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ৫ মাসেরও কম সময়ে সিআইডি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। আসামীদের অনুপস্থিতিতেই শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিচারকার্য শুরুর আদেশ প্রদান করেছে আদালত।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসিমউদ্দিন খান মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জসিমউদ্দিন খান জানান, অভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিনটি এজেন্ডা ছিল সংস্কার, নির্বাচন ও বিচার। সুষ্ঠু বিচারকার্য নিশ্চিতে সিআইডি তার উপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত পেশাদারত্বের সাথে পালন করে যাচ্ছে।
সেই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জড়িত শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য আসামীদেরকে চিহ্নিত করে মাত্র ৫ মাসেরও কম সময়ে তদন্ত সমাপ্ত করে সিআইডি। গত ১৪ আগস্ট ২০২৫খ্রি. উক্ত মামলায় শেখ হাসিনাসহ মোট ২৮৬ জন আসামীদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ১২১/১২১ক/১২৪ক ধারায় বিজ্ঞ আদালতে বিচারের নিমিত্তে সিআইডি কর্তৃক প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
সেই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আসামীদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকার্য শুরু করার আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। আজ ১৪/১০/২০২৫ খ্রি. অতি.চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, আদালত নং- ১৮ এই আদেশ প্রদান করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জন ও অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের সি আর (রমনা) মামলা নং- ২২২/২০২৫, ধারাঃ দন্ডবিধি- ১৮৬০ এর ১২১/১২১ক/১২৪ক; তারিখ. ২৭/০৩/২০২৫ রুজু করে সিআইডি।
মামলা রুজুর পর সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, সার্ভার ও যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্য সংগ্রহ এবং ফরেনসিক বিশ্লেষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করে সিআইডি। পাশাপাশি সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে সিআইডি প্রয়োজনীয় সকল সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করে।
এভাবে ৫ মাসেরও কম সময়ে এ বছরের ১৪ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৮৬ জন আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২১/১২১ক/১২৪ক ধারায় বিজ্ঞ আদালতে বিচারের নিমিত্তে সিআইডি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
উক্ত মামলায় সারাদেশের বিভিন্ন জেলখানায় অন্যান্য মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য সিআইডি বিজ্ঞ আদালতকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে মোট ৯১ জনের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করে। গ্রেফতারকৃত ৯১ জন ছাড়া বাকি ১৯৫ জন অভিযুক্ত আসামীগণ বিভিন্নভাবে পলাতক রয়েছে।
সিআইডি এ প্রেক্ষিতে বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের অন্যতম এজেন্ডা ‘বিচার’ সম্পাদনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখলো।
