Image description
 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন ঘিরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলে আবারো কোন্দল। সদ্য বহিষ্কৃত শাখা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মামুন উর রশিদ এবার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরকে ব্যঙ্গ করে দিয়েছেন ফেসবুক স্ট্যাটাস, যা ঘিরে ইতিমধ্যে ছাত্র রাজনীতির অঙ্গনে তুমুল আলোচনা।

 

মঙ্গলবার দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই স্ট্যাটাসে মামুন লেখেন, সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন ২০২৫-এ সুন্দর প্যানেল দিয়ে ছাত্রদলের বিজয় নিশ্চিত করায় ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবকের প্রতি আবেদন করছি—জনাব নাছির উদ্দীন নাছিরকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে শূন্য পদে মনোনীত করা হোক। ডাকসু ও জাকসুতে হারার পরও কেমন করে এই পদে থাকেন তিনি! আমি যদি ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক হতাম, নিজে পদত্যাগ করে নাছির উদ্দীন নাছিরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে জোবরার জমিদারদের কাছ থেকে চারটি গরু কিনে চাষ করতে দিতাম।

 

স্ট্যাটাসটি কিছু সময় পর তার ওয়াল থেকে মুছে ফেললেও ততক্ষণে তা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজে। এতে পক্ষে-বিপক্ষে মন্তব্যে সরগরম হয়ে ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চাকসু নির্বাচনের প্রাক্কালে প্যানেলে জায়গা না পাওয়া কিছু নেতাকে স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থী হতে উৎসাহিত করেছিলেন মামুন উর রশিদ। এ কারণেই সোমবার (১৩ অক্টোবর) তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। তবে বহিষ্কারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।

২০১১ সালে আন্দোলনের সময় পুলিশের হামলায় আহত হয়ে কারাবরণ করেন মামুন। দলের অনেক নেতাকর্মী তাকে ত্যাগী নেতা হিসেবে জানেন। তার বহিষ্কারের পর থেকেই ফেসবুকে সহানুভূতির ঢল নামে। অনেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি তোলেন।

চাকসু নির্বাচনের একেবারে শেষ মুহূর্তে এমন অন্তর্দ্বন্দ্বে হতাশ কর্মীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝেও পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব।

এক সিনিয়র ছাত্রদল নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নির্বাচনের এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এমন প্রকাশ্য ব্যঙ্গ বা সমালোচনা দলের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।

অন্যদিকে, মামুনের ঘনিষ্ঠ এক নেতা বলেন, মামুন ভাই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। দলের ভেতরের স্বজনপ্রীতি ও নেতৃত্বের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে তার বক্তব্য ছিল প্রতীকী প্রতিবাদ।

আগামীকালই চাকসু নির্বাচন। ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই জোরালো হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা।