Image description

শিক্ষক-কর্মচারীদের শ্রেণি-পাঠ্যক্রমে অংশগ্রহণে কোনও কর্মকর্তা বা কেউ বাধ্য করলে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী। তিনি বলেছেন, ‘দেখি কার কত বড় ক্ষমতা, ছয় লক্ষাধিক শিক্ষক পরিবারের সঙ্গে বিদ্রোহ করে। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ২০ মানে ২০, ১৫০০ মানে ১৫০০, ৭৫ মানে ৭৫। ১৯-ও হবে না, ১৪৯৯-ও হবে না, ৭৪-ও হবে না। যদি উল্টাপাল্টা সিদ্ধান্ত নেন, এই আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে।’

আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী। তিনি বলেন, ‘আন্দোলন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়া যাবে না। দুই মন্ত্রণালয় আজ মিটিংয়ে বসছে। অথচ বলেছিলেন, অর্থ উপদেষ্টা ও সচিব দেশে না ফিরলে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।’

এখন অর্থ উপদেষ্টা ও সচিব না থাকলেও সমস্যা নেই জানিয়েছেন তারা, এমন মন্তব্য করে দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘ঠেলার নাম বাবাজী। গতকাল থেকে সারা দেশের প্রত্যেকটি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কঠোরভাবে কর্মবিরতি পালন করেছি। সব প্রতিষ্ঠান অচল ও স্থবির হয়ে পড়েছে। আমাদের কোনও শিক্ষক-কর্মচারী শ্রেণি-পাঠ্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে না।’

এদিকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়ার দাবি মেনে নেওয়ার আভাস মিলেছে। বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ফের সভায় বসবেন শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্টরা সভায় বসবেন। এতে বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা সোমবার রাতে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ করছি। অনেক হিসেবও করা হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত শিক্ষকদের সুখবর দেওয়া সম্ভব হবে।’

অর্থ উপদেষ্টা এবং সচিব দেশে নেই। এ অবস্থায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা নিয়মিত অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ফলে তারা দেশে না থাকলেও সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হবে না। শিক্ষকরা হয়তো মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সুখবর পাবেন।’

শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ি কত শতাংশ হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘শিক্ষকদের দাবি অনুযায়ী, বাড়ি ভাড়া মূল বেতনের ২০ শতাংশ করা হতে পারে। এছাড়া চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ি ১ হাজার টাকা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার দাবিও পূরণ হবে।’

২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা আজ তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। নতুন কর্মসূচি হিসেবে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালন করবেন তারা। একই সঙ্গে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন।