
ভয়ংকর হয়ে উঠেছে বরিশালের জেলেরা। মা ইলিশ রক্ষায় নদীতে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা মানছেন না তারা। আভিযানিক দলের ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনাও ঘটছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নদীতে অভিযান চললেও তীরে অবাধে বাণিজ্য চলছে। র্যাব ও থানা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে জেলেরা।
মৎস্য দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, টাস্কফোর্সের সদস্য থানা পুলিশ ও র্যাব। তাদের ভূমিকা কী হবে তা জানানো হয়েছে। মৎস্য বিভাগ থেকে আলাদা চিঠিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে, তারা নদীতে নেমে অভিযান করবেন না। র্যাব জানিয়েছে, না ডাকলে নিজেদের উদ্যোগে অভিযান করবেন না। যার কারণে প্রতিদিন নদী তীরবর্তী এলাকায় মা ইলিশ ক্রয় বিক্রয়ের হাট বসে। ক্রেতা পাওয়ায় জেলেরা বেপরোয়া হয়ে হামলা করছে। গত কয়েকদিনে মেঘনা নদীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ইলিশ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তাসহ কর্মচারী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা আহত হয়েছে। সদরের চরবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দারা জানান, লামছরি ও শায়েস্তাবাদ এলাকায় সন্ধ্যার পর প্রকাশ্যে ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় হয়।
মাছ কিনতে নগরীসহ আশপাশের এলাকার মানুষ হাজির হয়। নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর থেকে পুলিশ একটি অভিযানও করেনি।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি দাস বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর জেলেরা হিংস্র হয়ে উঠছে। প্রায় প্রতিদিন আভিযানিক দলের ওপর হামলা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহায়তা করছে। কিন্তু তাদের কাছ থেকে শতভাগ সহায়তা পাচ্ছি না। তবুও চেষ্টা করা হচ্ছে।’