
২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া এবং ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতার দাবি আদায়ে আগামীকাল রবিবার থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। কর্মসূচিতে থেকে দাবি আদায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা আসতে পারে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘রবিবার থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। সরকার দাবি মেনে নিতে গড়িমসি করলে লাগাতার অবস্থানের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেওয়া হবে।’
জানা গেছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবের শিক্ষক সমাবেশে লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত ছিল। ওইদিন শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেসিকের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
কিন্তু দীর্ঘ দুই মাস অতিবাহিত হলেও প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ। এমতবস্থায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেসিকের ২০% বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও শতভাগ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আগামীকাল রবিবার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এর আগে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে পরিপত্র জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের এক চিঠির প্রেক্ষিতে বাড়ি ভাড়া ৫০০ টাকা বাড়িয়ে দেড় হাজার টাকা করা হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানান শিক্ষক-কর্মচারীরা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি শাখা থেকে শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি সংক্রান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ভাড়া বৃদ্ধির পরিপত্র রবিবার (৫ অক্টোবর) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি শাখার উপসচিব মোসা. শরীফুন্নেসা এতে স্বাক্ষর করেছেন। পরিপত্রে বলা হয়েছে, 'বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা নিম্নোক্ত শর্তাদি পালন সাপেক্ষে ১ হাজার হাজার টাকা হতে বৃদ্ধি করে ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হলো।
শর্তে বলা হয়েছে, ‘এ ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে যাবতীয় আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে; এ ভাতা সংক্রান্ত ব্যয়ে ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত অনিয়মের জন্য দায়ী থাকবেন। প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক আদেশ জারির তারিখ হতে ভাতা কার্যকর হবে। প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জিও জারি করে জিও এর ০৪(চার) কপি অর্থ বিভাগে পৃষ্ঠাংকনের নিমিত্ত প্রেরণ করতে হবে।’