
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধুর মোবাইল ফোন চুরি করে তা বিক্রির টাকায় ইয়াবা সেবনের অভিযোগ উঠেছে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৫৩ ব্যাচের ছাত্র সামিউল আজীমের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাজী নজরুল ইসলাম হলের ১০০৮ নম্বর কক্ষ থেকে মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ছাত্র সাগর গোলজার জানান, ঘুম থেকে উঠে ফোন না পেয়ে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, পাশের কক্ষের সামিউল তার রুমে প্রবেশ করে কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে যায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সামিউল স্বীকার করে, ফোনটি টঙ্গীতে বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে ইয়াবা সেবন করেছে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় সন্ধ্যায় সামিউলকে হলে আনা হয়। তখন সেখানে উপস্থিত হন ছাত্রদলের কাজী নজরুল ইসলাম, হল শাখার সভাপতি মেহেদি হাসান ইমন।
তিনি হল ওয়ার্ডেন সহযোগী অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার মন্ডলের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টিকে ‘সিম্পল’ ও নিজেদের মধ্যে সমাধানযোগ্য বলে উল্লেখ করেন। তবে হল ওয়ার্ডেন বলেন, অভিযুক্তের মাদক সংশ্লিষ্টতার ঘটনা নতুন নয়। পূর্বেও তাকে মাদকসহ আটক করে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছিল। প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যেখানে ফোনটি বিক্রি হয়েছে, সেটি মাদকসেবীদের আড্ডাস্থল। সেখান থেকে ফোন উদ্ধার কঠিন হতে পারে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত, তাকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদবিরের বিষয়ে ছাত্রদল নেতা মেহেদি হাসান ইমনের বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।