Image description
 

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ গাজা অভিমুখী নৌবহর থেকে আটক অধিকারকর্মীদের একটি অংশকে ইসরায়েলের কেৎজিয়েত কারাগারে নেওয়া হয়েছে। ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন এবং ইসরায়েলে আরব সংখ্যালঘুদের নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা ‘আদালাহ’র বরাত দিয়ে দৃক এ তথ্য জানিয়েছে।

দৃক এর ফেসবুক পেজের প্রকাশিত পোস্টে বলা হয়, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন এবং আদালাহ—দ্য লিগ্যাল সেন্টার ফর আরব মাইনরিটি রাইটস ইন ইসরায়েল (যারা অপহৃত ফ্রিডম ফ্লোটিলা অ্যাকটিভিস্টদের হয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে আসছে) এর মাধ্যমে আমরা জেনেছি, আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ ফ্রিডম ফ্লোটিলা নৌবহরের সব সাংবাদিক, স্বাস্থ্যসেবাকর্মী, মানবাধিকারকর্মী ও জাহাজের নাবিকদের আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁদের ইসরায়েলের কেৎজিয়েত কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফ্লোটিলার অধিকারকর্মীরা আদালাহর আইনজীবীদের জানিয়েছেন, জাহাজ দখল নেওয়ার পর থেকে তাঁরা ইসরায়েলের দখলদার বাহিনীর দ্বারা নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছেন।’

এর আগেদৃক এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫, ফিলিস্তিনি সময় আনুমানিক সকাল ৬টা (বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা) গাজা থেকে ১২০ নটিক্যাল মাইল (২২০ কিলোমিটার) দূরে ফ্রিডম ফ্লোটিলার ‘কনশেন্স’সহ সর্বমোট ৮টি জাহাজকে আন্তর্জাতিক জলসীমায় সহিংসভাবে দখল করেছে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার ভোরে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে, কনশেন্সের গাজাগামী যাত্রীরা একটি ইসরায়েলি সামরিক হেলিকপ্টার দ্বারা আক্রমণের কথা জানিয়েছেন। এই সময়ে ইসরায়েলি নৌবাহিনী একইসাথে থাউজেন্ডস ম্যাডলিনসের পালতোলা নৌকাগুলিরও দখল নেয়। এই অবৈধ অভিযানে আলোকচিত্রী, লেখক ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলমসহ সকল অ্যাক্টিভিস্ট, লেখক-গবেষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক- স্বাস্থ্যসেবাকর্মী, মানবাধিকারকর্মী এবং জাহাজের সকল নাবিককে অপহরণ করা হয়েছে।

আদালাহ - দ্য লিগাল সেন্টার ফর আরব মাইনোরিটি রাইটস ইন ইসরায়েল, যারা অপহৃত সকল অপহৃত ফ্রিডম ফ্লোটিলা অ্যাক্টিভিস্টদের হয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে আসছেন, তাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, এই মুহূর্তে ইসরায়েলি নৌবাহিনী অপহৃতদের দেশটির একটি বন্দরে নিয়ে যাচ্ছে।  

দৃক, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এবং থাউজেন্ড মেডলিনসের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সকলের প্রতি ফিলিস্তিন মুক্তির দাবিকে জোরদার করার আহ্বান জানায়। 

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন এবং থাউজেন্ড মেডলিনসের দাবিগুলো হলো:

১। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা এই মুহূর্তে বন্ধ করতে হবে।

২। গাজায় ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধের অবসান হতে হবে।

৩। ফিলিস্তিনিদের কাছে সরাসরি মানবিক সাহায্য পৌঁছে দিতে হবে।

৪। ফ্রিডম ফ্লোটিলার গাজাগামী নৌবহর থেকে অপহৃত সকল সাংবাদিক, স্বাস্থ্যসেবাকর্মী এবং জাহাজের সকল নাবিককে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

৫। ফ্রিডম ফ্লোটিলার গাজাগামী নৌবহরের উপর সামরিক আক্রমণের পূর্ণ আইনগত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

উল্লেখ্য প্রায় ২ বছর ধরে ইসরায়েল গাজাতে গণমাধ্যমকর্মীদের যাতায়াত ও সংবাদ প্রবাহকে বন্ধ করে রেখেছে। ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের কনশেন্স জাহাজটি এই মিডিয়া ব্ল্যাকআউটকে চ্যালেঞ্জ করার লক্ষ্যে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইতালির অত্রান্ত বন্দর থেকে গাজার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলো।