
নতুন পে স্কেল ঘোষণার আগে সুনির্দিষ্ট ও বর্ধিত ভাতা এবং বেতন বৈষম্য দূরীকরণে ন্যায্য কাঠামো দাবি করছে সরকারি কর্মচারীরা। তাদের মূল দাবি—সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত ১:৪ বা ১:৬ নির্ধারণ করে নতুন পে স্কেল কার্যকর করা।
এই দাবি সামনে রেখে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করবে ‘১১–২০ গ্রেড সরকারি চাকুরিজীবী ফোরাম’। সংগঠনটি ইতোমধ্যেই প্রেস ক্লাবের হলরুম বুক করেছে।
সংগঠনটির নেতারা জানিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে তারা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি উপস্থাপন করবেন—
- ন্যায্যতার ভিত্তিতে বৈষম্যমুক্ত পে স্কেল ঘোষণা,
- হরণকৃত টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল,
- এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন,
- বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ভাতাসমূহ পুনর্নির্ধারণ, এবং
- শতভাগ পেনশন প্রবর্তন।
তারা জানান, এসব দাবি বাস্তবায়নের জন্য ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে সরকারের জন্য।
‘১১–২০ গ্রেড সরকারি চাকুরিজীবী ফোরাম’-এর সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ন্যায্যতার ভিত্তিতে বৈষম্যমুক্ত পে স্কেল ঘোষণা করার দাবি থাকবে আমাদের। এ ছাড়া সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতন ১:৪ অনুপাত করার দাবি থাকবে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৮ হাজার এবং সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার করার প্রস্তাবনা থাকবে।
তিনি আরও জানান, সংগঠনটি বর্তমান গ্রেড কাঠামো ভেঙে ১২ থেকে ১৫টি গ্রেডে পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব দেবে, যাতে কর্মচারীদের মধ্যে পদোন্নতি ও সুবিধা বণ্টনে সামঞ্জস্য আসে।
সরকারি কর্মচারীদের অভিযোগ,বেতন বৈষম্যের কারণেই তাদের পে স্কেল পেতে এত দীর্ঘ সময় লেগেছে। তারা মনে করেন, যদি বৈষম্য না থাকত, তবে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা আগেই বেতন বৃদ্ধির দাবি জানাতেন এবং এর ফলে সাধারণ কর্মচারীরা আরো অন্তত দুটি পে স্কেল পেয়ে যেতেন। বর্তমান কাঠামোয় কর্মকর্তাদের জীবনযাত্রায় কোনো অসুবিধা না হওয়ায়, তারা বেতন স্কেল নিয়ে ভাবেন না। কিন্তু ছোট কর্মচারীদের সংসার চালানো এখন রীতিমতো চ্যালেঞ্জ।