Image description
 

বগুড়ায় সরকারি দামের চেয়ে বাজারে মণপ্রতি ২৫০ টাকা বেশি দামে আমন ধান বিক্রি করছেন চাষিরা। এতে সরকারি গুদামে ধান দিতে আগ্রহী নন অনেকে। এ মৌসুমে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে মাত্র এক শতাংশ ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া গত চার বছর ধরে সরকারিভাবে আমন ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি খাদ্য অধিদপ্তর।

 

বগুড়ায় প্রতি-বছর চাহিদার তুলনায় গড়ে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিকটন বেশি ধানের ফলন হয়। খাদ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ মৌসুমে জেলায় সরকারিভাবে ১২ হাজার ৬১০ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে গত ২ মাসের সংগ্রহ মাত্র ৮১ মেট্রিকটন।
 
স্থানীয় এক কৃষক জানান, এবার প্রতিমণ ধানের সরকারি দাম নির্ধারণ করা হয় ১৩২০ টাকা। অথচ খোলাবাজারে বিক্রি করে প্রায় ১৬০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। এতে সরকারি গুদামে ধান দিতে আর আগ্রহ পাচ্ছে না কৃষকেরা।

 

এ ছাড়া সেদ্ধ আর আতপচাল সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩৮ হাজার মেট্রিকটন। বগুড়া আকবর অটো রাইস মিলের জেনারেল ম্যানেজার আরিফুর রহমান জানান, লক্ষ্যমাত্রার ৫৫ শতাংশ চাল গুদামে দিয়েছে মিলাররা। এতে কেজিতে প্রায় ৩ টাকা লোকসান হচ্ছে।  

বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রিয়াজুর রহমান রাজু বলেন, ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে আপৎকালীন মজুত গড়ে তোলা আর বাজার স্থিতিশীল রাখাই সরকারি খাদ্যশস্য সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্য বলছেন।

গত ১৪ নভেম্বর শুরু হওয়া খাদ্য শস্য সংগ্রহ অভিযান চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।