
আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তাদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচন যেন স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হয়, সে প্রত্যাশাই ব্যক্ত করেছেন ইইউ প্রতিনিধিরা।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে আগ্রহী। অন্তর্বর্তী সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তারা অবজারভার দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচনে স্বচ্ছতা থাকবে এমনটাই তারা প্রত্যাশা করছে।
আমীর খসরু বলেন, বিদেশিদের কাছে আমাদের নালিশ করার কিছু নেই। বাংলাদেশে কী হবে, তা জনগণই ঠিক করবে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সবসময় বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখে, এবারও তারা তা অব্যাহত রাখতে চায়।
তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে চায়। পাশাপাশি তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে, সংসদকে আরও কার্যকর করতে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা জোরদারে সহযোগিতা করতে চায়।
বিএনপি ও ইইউ প্রতিনিধিদের বৈঠকে নির্বাচন প্রক্রিয়া, জনগণের প্রত্যাশা, গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং সংসদীয় ব্যবস্থার শক্তিশালীকরণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
আওয়ামী লীগ নেতা সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিকের সাম্প্রতিক বৈঠক প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, কে কোথায় বৈঠক করলো, সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। এ নিয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।