
দেশের আকাশপথে চলছে ভাড়া নৈরাজ্য। ২৫-৩০ হাজার টাকার সাধারণ এয়ার টিকিট যাত্রীকে কিনতে হচ্ছে লাখ টাকায়। বছরের পর বছর একটি সিন্ডিকেট যাত্রীর পকেট থেকে ভাড়ার তিনগুণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ চক্রের কাছে সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি কঠিনভাবে জিম্মি রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। যুগান্তরের অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, এয়ারলাইন্স কোম্পানি, কিছু ট্রাভেল এজেন্সি এবং কিছু এয়ারলাইন্স কর্মকর্তার যোগসাজশে চলছে টিকিটের বাজারে এই ভাড়া নৈরাজ্য। বছরের পর বছর চলা এ নৈরাজ্য ও যাত্রী শোষণের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর নির্দেশনা জারি থাকলেও তা কেউ মানছে না। সিন্ডিকেট কীভাবে টিকিটের দাম নিয়ন্ত্রণ করে, এর খোঁজ নিতে গিয়ে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর বেশকিছু তথ্য।
এতে দেখা যায়, মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক অন্তত ১১টি এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশি জিএসএ এজেন্ট (গ্লোবাল সেলস এজেন্ট) এবং ৩০টি ট্রাভেল এজেন্সি মালিকের যোগসাজশে চলছে অরাজকতা। তারা গ্রুপ টিকিটের নামে ভুয়া তথ্য দিয়ে একেকটি ফ্লাইটের অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ টিকিট ব্লক করে রাখে। এভাবে টিকিট বা সিট ব্লক করে রাখলে ফ্লাইটে সিট স্বল্পতা দেখা দেয়। তখন টিকিটের দাম বেড়ে যায়। আর দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্লক করে রাখা টিকিট বিক্রি শুরু করে সিন্ডিকেট। এভাবে কেনা দামের চেয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে তারা টিকিট বিক্রি করে। সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এক অনুষ্ঠানে টিকিট সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করে চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান। তার সেই বক্তব্যের সূত্র ধরে যুগান্তর এর পেছনের চক্রটিকে সামনে আনার চেষ্টা করে।
প্রাপ্ত তথ্য তুলে ধরে শেখ বশিরউদ্দীনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চাই গরিব শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা হোক। তাদের কষ্টার্জিত টাকাই দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখে। টিকিটের গায়ে মূল্য লেখার নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে যুগান্তরের অনুসন্ধানে টিকিটের দাম বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি ধাপে সিন্ডিকেটের কারসাজির তথ্য উঠে আসে। বড় ট্রাভেল এজেন্সিগুলো তাদের পরিচিতি বা প্রভাব কাজে লাগিয়ে নির্দিষ্ট রুটে (বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যের বা উৎসবের সময়ের রুট) টিকিট ব্লক করে রাখে। চক্রটি এয়ারলাইন্সগুলোর গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (জিডিএস) ব্যবহার করে কারসাজি করে। তারা যাত্রীর নাম বা পাসপোর্ট নম্বর ছাড়াই বহুসংখ্যক টিকিট বুকিং সিস্টেমে হোল্ড করে। এর ফলে ওই সিটগুলো বাজার থেকে সাময়িকভাবে উধাও হয়ে যায়। অনলাইন বা সাধারণ ট্রাভেল এজেন্টের কাছে টিকিট ‘সোল্ড আউট’ দেখায়। অথচ বাস্তবে আসনগুলো খালি থাকে। এভাবে জোগান কম দেখিয়ে চাহিদা বাড়ানো হলে এয়ারলাইন্সের ডায়নামিক প্রাইসিং সিস্টেমে (চাহিদার ওপর ভিত্তি করে মূল্য নির্ধারণ) স্বয়ংক্রিয়ভাবে টিকিটের দাম কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। এরপর সিন্ডিকেট নিজেদের হাতে থাকা ব্লক টিকিটগুলো চড়া দামে বাজারে ছাড়ে। ফলে সাধারণ যাত্রীরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে টিকিট কেনেন।
কীভাবে ঘণ্টায় ঘণ্টায় টিকিটের দাম বাড়িয়ে দেয় সিন্ডিকেট, একজন যাত্রীর অভিজ্ঞতা থেকে সেই ধারণা পাওয়া যায়। কুয়েতগামী যাত্রী শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার আলী হোসেন। ৬ অক্টোবর তার ফ্লাইট। এর জন্য তিনি টিকিট কাটতে যান। বুধবার সকালের কথা। তার কাছে প্রথমে টিকিটের দাম ৬০ হাজার টাকা দাবি করে ট্রাভেল এজেন্সি। টাকা সংগ্রহ করার পর বিকালে তিনি টিকিট কাটতে যান। তখন তাকে বলা হয়, টিকিটের দাম বেড়ে গেছে। এখন ৭৫ হাজার টাকা দিতে হবে। এ কথা শুনে আকাশ থেকে পড়েন আলী হোসেন। তিনি যুগান্তরকে বলেন, টিকিট না কিনলে চাকরিটা চলে যেত। ধারদেনা করে অতিরিক্ত টাকা দিতে হলো। বিদেশে যাওয়ার আগেই ঋণের বোঝা কয়েক গুণ বেড়ে গেল।
সরকারের নির্দেশনা ছিল-পাসপোর্ট নম্বর ছাড়া টিকিট বুকিং নয়। সিন্ডিকেট নতুন ফাঁদ পাতে। যেহেতু বুকিং করার সময় যাত্রীর পাসপোর্ট নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক। এ শর্ত পূরণের জন্য এজেন্সিগুলো এখন ভুয়া, বানানো বা ডামি পাসপোর্ট নম্বর ব্যবহার করছে। সিস্টেম যেহেতু শুধু একটি বৈধ চেহারাযুক্ত (সঠিক ফরম্যাটের) নম্বর ইনপুট হিসাবে চায়, তাই এজেন্সিগুলো সেই ডামি নম্বর ব্যবহার করে বিপুলসংখ্যক সিট ব্লক বা হোল্ড করে রাখছে। এছাড়া একটি বৈধ পাসপোর্ট নম্বর ব্যবহার করে সেই যাত্রীর জন্য একই রুটের বা ভিন্ন ভিন্ন রুটের একাধিক তারিখে টিকিট বুকিং করা হয়।
বিমান ভ্রমণের নিয়ম অনুযায়ী একজন যাত্রী একই সময়ে একই রুটে কনফার্ম টিকিট নিতে পারেন না। সিস্টেমের এই দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে এজেন্সিগুলো একই নামে বারবার টিকিট বুকিং (রিপিটেড বুকিং) করে। এতে বাজারে কৃত্রিম সিট সংকট তৈরি হয় এবং স্বাভাবিকভাবেই বাকি টিকিটের দাম বেড়ে যায়। এই রিপিটেড বুকিংয়ের বেশির ভাগ ডামি যাত্রী।
এদিকে টিকিটের দাম নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দিকে নজর দিলে দেশের যাত্রীসাধারণ কতটা ঠকছেন, এর একটা ধারণা পাওয়া যায়।
যুগান্তরের হাতে আসা তথ্যে দেখা যায়, কলকাতা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রুটে ফ্লাইটের দূরত্ব ঢাকার সমপরিমাণ বা কিছু ক্ষেত্রে বেশি হলেও সে দেশের যাত্রীর টিকিটের দাম অর্ধেক বা তারও কম। ৮ অক্টোবর বিদেশি একটি এয়ারলাইন্সে যে যাত্রী ঢাকা থেকে রিয়াদ যাবেন, তার টিকিটের মূল্য ও সময় বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বাংলাদেশি যাত্রীকে ৯ ঘণ্টার ফ্লাইট যাত্রায় গুনতে হচ্ছে ৯৫ হাজার টাকা। একই দিনে কলকাতা থেকে রিয়াদগামী একই বিমানে যাত্রীর আকাশপথে ১১ ঘণ্টার জন্য দিতে হয় ৫৫ হাজার টাকা। ভাড়া কম। যাত্রার সময় বাংলাদেশ থেকে ২ ঘণ্টা বেশি। একইভাবে ঢাকা থেকে দুবাই পৌঁছার সময় ৫ ঘণ্টা। এই দূরত্বের জন্য একজন যাত্রী বাংলাদেশ থেকে ৭১ হাজার টাকায় টিকিট কিনছেন। অপরদিকে কলকাতা থেকে দুবাই রুটে ফ্লাইং সময় একই হলেও টিকিটের দাম মাত্র ৩৮ হাজার টাকা। এবার নজর দেওয়া যাক ঢাকা থেকে নিউইয়র্কের ফ্লাইটের দিকে। বাংলাদেশ থেকে এই রুটে যাত্রা সময় (লে-ওভারসহ) সর্বোচ্চ ২৩ ঘণ্টা। এই রুটে একজন যাত্রীর খরচ পড়ছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অপরদিকে কলকাতা থেকে নিউইয়র্কের ফ্লায়িং দূরত্ব ও সময় ৪৫ ঘণ্টা (লে-ওভারসহ)। কিন্তু তাদের যাত্রীর টিকিটের দাম ৯৫ হাজার টাকা।
এতে দেখা যায়, ঢাকা থেকে রিয়াদ যেতে বাংলাদেশি যাত্রীকে কলকাতার যাত্রীর চেয়ে প্রায় ৭৩ শতাংশ ভাড়া বেশি গুনতে হয়। একইভাবে দুবাইগামী যাত্রীকে প্রায় ৮৭ শতাংশ এবং নিউইয়র্কগামী যাত্রীকে দিতে হয় অন্তত ৫৮ শতাংশ বেশি ভাড়া।
দূরত্ব প্রায় সমান বা কলকাতা থেকে কম হলেও ঢাকা ও কলকাতার টিকিট মূল্যের পার্থক্যের কারণ বিশ্লেষণ করেছেন বিদেশি এয়ারলাইন্সের একজন কর্মকর্তা। তিনি জানান, বাংলাদেশে ট্যাক্স ও এয়ারপোর্ট চার্জ অতিরিক্ত। এর বাইরে ঢাকায় যাত্রীদের টিকিট ও এয়ারলাইন্সের সিটের কৃত্রিম সংকট ও সিট সংকট তৈরি করে কেউ কেউ বাড়তি অর্থ নেয়। এতে বেড়ে যায় টিকিটের দাম। বাড়তি টাকা গুনতে হয় যাত্রীকে।
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে বারবার কঠোর নির্দেশনা জারি করা হলেও সিন্ডিকেট চক্র নতুন কৌশল অবলম্বন করে যাত্রীর পকেট থেকে অতিরিক্ত টাকা কেড়ে নিচ্ছে। সরকার এ বিষয়ে সর্বশেষ ফেব্রুয়ারিতে সতর্কতা জারি করে। সরকারের নির্দেশনা ছিল, টিকিট বিক্রির সময় অবশ্যই যাত্রীর নাম ও পাসপোর্ট নম্বর যুক্ত থাকতে হবে। টিকিটে দাম উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া তা টিকিটের গায়েও ছাপা থাকতে হবে। যদিও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় আকাশপথে যাত্রীসাধারণের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের কোনো কার্যকারিতা এখন নেই।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ উইং কমান্ডার (অব.) এটিএম নজরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও টিকিট সিন্ডিকেট ভাঙা যাচ্ছে না, বরং প্রতিদিনই ভাড়া বাড়ছে। টিকিটের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া নিছক বাজারের কারণে নয়। এটি একটি সুসংগঠিত সিন্ডিকেটের প্রমাণ। এয়ারলাইন্স ও কিছু ট্রাভেল এজেন্সি মিলে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। তারা লোয়ার ক্লাস বন্ধ করে দেয় এবং ফ্লাইটের ক্লোজিং ডেট যত ঘনিয়ে আসে, দাম তত বাড়ায়। সিন্ডিকেট শুধু এজেন্সিগুলো একা করে না। এয়ারলাইন্সের সম্পৃক্ততা ছাড়া এটি সম্ভব নয়। বিশেষ করে গ্রুপ টিকিটের নামে বিপুলসংখ্যক টিকিট ব্লক করে রাখা, সেগুলো এয়ারলাইন্স থেকে নেওয়া ও বিক্রি নিয়ে কোনো মনিটরিং নেই।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, সরকারি নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ায় অসাধু চক্র সাধারণ যাত্রীদের পকেট কেটে নিচ্ছে। এটি প্রকাশ্য লুটপাট এবং স্পষ্টতই দুর্নীতির প্রমাণ। কার্যকর মনিটরিং ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে এই অনিয়ম ঠেকানো সম্ভব হবে না।
সাধারণ সময়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি রুটের ইকোনমি ক্লাসের একমুখী ভাড়া যেখানে ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা। সিন্ডিকেটের কারসাজিতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সৌদি আরব ও দুবাই রুটে এই মূল্যবৃদ্ধি চরমে। এই অরাজকতার বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাভেল এজেন্টদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) প্রশাসক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোতাকাব্বীর আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, আমি নতুন এসেছি। এমনকি প্রশাসক হিসাবে সিন্ডিকেটে জড়িত থাকার অভিযোগে সরাসরি কোনো সদস্যের মেম্বারশিপ বাতিল করার ক্ষমতা আমার নেই। তবে মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আমাদের কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আমরা তা সদস্যদের অবহিত করেছি। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় বেশকিছু এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলও করেছে।
এদিকে টিকিট সিন্ডিকেটে জড়িত এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে দেখা যায়, গ্রুপ বুকিংয়ের নামে অনির্দিষ্টকালের জন্য চাহিদাসম্পন্ন রুটের এয়ার টিকিট ব্লক করে রাখে এমন ১৩টি এজেন্সিকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড, সিটিকম ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড, আরবিসি ইন্টারন্যাশনাল, মেঘা ইন্টারন্যাশনাল এয়ার সার্ভিস, মাদার লাভ এয়ার সার্ভিস, জেএস ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস, হাসেম এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, ফোর ট্রিপ লিমিটেড, কিং এয়ার এভিয়েশন, বিপ্লব ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্ট, সাদিয়া ট্রাভেলস, আত-তাইয়ারা ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল ও এনএমএসএস ইন্টারন্যাশনাল। এসব ট্রাভেল এজেন্সি বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অস্বাভাবিক দামে অতিরিক্ত মুনাফার উদ্দেশ্যে টিকিটের মজুতদারি, কালোবাজারি ও প্রতারণামূলক কার্যক্রমে সম্পৃক্ততার বিষয়টি তাতে উঠে আসে। বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন যুগান্তরকে বলেন, আমরা এসব চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছি। এরই মধ্যে ৪৯টি এজেন্সিকে চিঠি দিয়েছি। ১৩টির লাইসেন্স বাতিল করেছি।