Image description
 

বাংলাদেশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী, শিক্ষাবিদ ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম বলেছেন, ‘জাহাজ ‘কনসায়েন্সে’ এটি ছিল সেরা ঘুমানোর জায়গা। কিন্তু শেষ যাত্রী হিসেবে জাহাজে ওঠায় সেখানে আমার জায়গা হয়নি। পরে আমি একটি ছোট খোপ খুঁজে পাই, এটি এক্সিট গেটের পাশে। সেখানে আমি গভীর ঘুমে ঘুমিয়েছি।’

 

বৃহস্পতিবার সকালে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে এ ঐতিহাসিক অভিযানে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তিনি।

 
 

পোস্টে শহিদুল আলম—‘জাহাজ ‘কনসায়েন্সে’ এটি ছিল সেরা ঘুমানোর জায়গা। কিন্তু শেষ যাত্রী হিসেবে জাহাজে ওঠায় সেখানে আমার জায়গা হয়নি। আগের রাতে খোলা ডেকে ঘুমিয়েছিলাম, কিন্তু ঝড়ের কারণে সেটিও আর সম্ভব হয়নি। পরে আমি একটি ছোট খোপ খুঁজে পাই, এটি এক্সিট গেটের পাশে। জায়গাটি ছিল আলোঝলমলে ও কোলাহলপূর্ণ, কিন্তু রিমান্ড ও কারাগারে কাটানো সময় আমাকে এসব পরিস্থিতির জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত করেছে। আমি গভীর ঘুমে ঘুমিয়েছি।’


বিশ্বজুড়ে শুভেচ্ছাবার্তা ও দোয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শহিদুল আলম বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দোয়া ও শুভকামনার বার্তা আসছে। আমি দুঃখিত, আপনাদের সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে উত্তর দিতে পারছি না। তবে আপনাদের বার্তা ও দোয়া আমার সহযাত্রীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। এটা অনেক বড় অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।’

গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অনেক গণমাধ্যমকর্মী আপডেট ও কনটেন্ট চেয়ে বার্তা পাঠাচ্ছেন। এত বেশি অনুরোধ এসেছে যে, আলাদাভাবে সবাইকে উত্তর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। দয়া করে কনটেন্টের জন্য ড্রিক-এর সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সংহতি ও সহায়তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’

ফ্লোটিলার যাত্রাপথে নিরাপত্তা পরিস্থিতি তুলে ধরে শহিদুল আলম বলেন, ‘আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন আন্তর্জাতিক জলসীমায় সুমুদ ফ্লোটিলার নৌকাগুলোকে ইসরাইলি জলদস্যুদের আটকানোর ঘটনা। গাজায় পৌঁছাতে আমাদের এখনো অনেক পথ বাকি। আমরা নজর রাখছি কী হয় এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

তিনি আরও জানান, ‘আজকের দিনে দুই মিটার পর্যন্ত ঢেউ উঠতে পারে বলা হচ্ছে। তবে ঝড় থেমে গেছে এবং বজ্রপাত নেই। ক্যাপ্টেন গতি বাড়িয়ে ঝড়কে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের অসুস্থতা ব্যাগ সরবরাহ করা হয়েছিল, তবে তা ব্যবহার করতে হয়নি।’

পোস্টের শেষাংশে শহিদুল আলম লেখেন, ‘আমরা অবরোধ ভাঙবো। আপনাদের উপস্থিতি ও সংহতির মূল্য আপনি হয়তো আন্দাজও করতে পারছেন না। ফিলিস্তিন মুক্ত হবেই।’