
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ‘ভয়-ভীতি’কে উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের যুদ্ধপীড়িত অসহায় নাগরিকদের জন্য ত্রাণসামগ্রী নিয়ে গাজায় পৌঁছানোর জন্য অবিচলভাবে এগিয়ে চলছে ‘সুমুদ’ নামের ছোট ছোট জাহাজের বহর।
জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী গাজায় দুর্ভিক্ষ চলছে। তবে আন্তর্জাতিক মহল থেকে সাহায্য সামগ্রী পাঠাতে উদ্যোগ নেওয়া হলেও স্থলপথে সেখানে পৌঁছানো যাচ্ছে না ইসরায়েলের বাধার কারণে।
সেই অবরোধ ভাঙতে জলপথে গত মাসে স্পেন থেকে ৪৫টি ছোট ছোট জাহাজের একটি বহর (ফ্লোটিলা) রওনা হয় যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উদ্দেশে। এই বহরে রয়েছেন বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদসহ সুইডিশ শান্তিকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ও দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি মান্দলা মেন্ডেলা। খবর এএফপির।
এদিকে, মিশরের জলসীমায় পৌঁছানোর পর ‘সুমুদ বহরের’ সংগঠকরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভয় দেখানোর জন্য তাদের বহর লক্ষ্য করে দখলদার ইসরায়েলি নৌবাহিনী একটি অভিযান চালিয়েছে।
এই বহরটিকে নিরাপত্তা দিতে স্পেন ও ইতালি জাহাজ পাঠালেও তারা সুমুদের সংগঠকদের গাজা উপকূল থেকে বেশ খানিকটা দূরে ইসরায়েলের ঘোষিত ‘নিষিদ্ধ’ জলসীমায় প্রবেশ না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল।
স্পেন থেকে যাত্রা শুরুর পর তিউনিশিয়ায় ১০ দিনের জন্য থেমেছিল সুমুদ বহরটি। তবে এর সংগঠকরা জানিয়েছেন, ১৫ সেপ্টেম্বর আবার যাত্রা শুরুর আগে তাদের বহরে দুবার ড্রোন হামলা হয়েছে।
সংগঠকরা বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বহরের একটি জাহাজ ‘আলমা’ ইসরায়েলি নৌবাহিনীর আগ্রাসী আচরণের শিকার হয়েছে। ওই ইসরায়েলি জাহাজটি আলমাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকমিনিট অনবরত চক্কর দেয়।
এরপর সেই ইসরায়েলি যুদ্ধজাহাজটি ‘সাইরাস’ নামের আরেকটি জাহাজকে কেন্দ্র করে আরও বেশি সময় ধরে চক্কর দেয়। পরে অবশ্য ইসরায়েলি জাহাজগুলো ফিরে যায়।

সাইরাসের আরোহী ফ্রান্সের একজন আইনপ্রণেতা মেরি মেসমার বলেন, দুটি নামহীন জাহাজ তাদের জাহাজের খুব কাছে এসে ভয় দেখাচ্ছিল। এ সময় একটি সামরিক পেট্রোল বোট থেকে সাইরাসে তীব্র আলো ফেলা রাখা হয়। পুরো ঘটনা যতক্ষণ ঘটছিল ততক্ষণ সাইরাসের রাডার ও ইন্টারনেট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
গত জুন ও জুলাই মাসে গাজা অভিমুখে আন্তর্জাতিক সাহায্যকর্মীদের দুটি জাহাজ বহর ইসরায়েল আটকে দিয়েছিল।