
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিরা ডাকযোগে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এ জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিশেষ একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছে যার নাম ‘পোস্টাল ভোট বিডি’।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, আউট অব কান্ট্রি ভোটিংয়ের জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের অধীনে তৈরি হয়েছে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ। প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের মোবাইল ফোনে গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে এনআইডি দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। অ্যাপটির উদ্বোধন এখনো হয়নি, তবে কমিশন এর নাম ও কাঠামো অনুমোদন করেছে। নিবন্ধন সম্পন্ন হলে ভোটারের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনআইডি ডেটাবেজের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার সংসদীয় আসন শনাক্ত হবে। এরপর ভোটারকে প্রবাসে যে ঠিকানায় ব্যালট পেপার পেতে চান সেটি প্রদান করতে হবে।
ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ হলে ডাক বিভাগ তিনটি খামের একটি প্যাকেট পাঠাবে। প্রথম খামে থাকবে ব্যালট পেপার এবং ভোট প্রদানের বিস্তারিত নির্দেশনা। ভোটার প্রতীকের পাশে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দেবেন। এরপর ব্যালট পেপার নির্ধারিত খামে ভরে সেটি দ্বিতীয় খামের মধ্যে রাখবেন। দ্বিতীয় খামটি স্থানীয় ডাকঘর বা পোস্ট বক্সে জমা দিতে হবে। ডাক বিভাগ খামটি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানায় পৌঁছে দেবে। ভোট গণনার দিন ডাকযোগে প্রাপ্ত ভোটগুলো অন্যান্য ভোটের সঙ্গে গণনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
পুরো প্রক্রিয়াটি প্রযুক্তিনির্ভর ও স্বয়ংক্রিয়। ভোটারের আসন, রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা, প্রিন্টেড খাম সবকিছু এনআইডি ডেটা পুলের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। ম্যানুয়াল হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকবে না। ডাক বিভাগ ব্যালট পেপার ও খাম প্রিন্টিংয়ের দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনের তারিখের আগেই ব্যালট পেপার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে পৌঁছে যাবে এবং সংরক্ষণ করা হবে। ভোট গণনার সময় ডাকযোগে প্রাপ্ত ভোটগুলো গণনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বুধবার (১ অক্টোবর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা পৃথিবীর যে দেশেই থাকুন না কেন, আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় এবার তারা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। তিনি জানান, এ লক্ষ্যে খুব শিগগির ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ নামের একটা মোবাইল অ্যাপ চালু করা হবে।
ভোট প্রদান করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনি ভোট দেওয়ার পরে শুধু খামটি পোস্ট অফিসে পোস্ট করবেন। এটা যথাযথ স্থানে আমাদের প্রদত্ত ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। আপনি যদি বাংলাদেশি হয়ে থাকেন এবং প্রবাসী হয়ে থাকেন এবং ভোট দিতে আগ্রহী হন তাহলে অবশ্যই আপনাকে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগটা নিতে হবে। আমরা আশা করবো আমাদের সব প্রবাসী ভাইবোন এই সুযোগটা কাজে লাগাবেন।