
রূপসজ্জার অঙ্গ নখরঞ্জনীও। নখ কেটে, সুন্দর করে নেলপলিশ পরে থাকলে হাতের সৌন্দর্যই পাল্টে যায়।
ত্বকের রোগের চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘ সময় ধরে নেলপলিশ পরে থাকা, একটি তুলে সঙ্গে সঙ্গে অন্য নেলপলিশ পরার মতো অভ্যাস নখের পক্ষে ক্ষতিকর। সবচেয়ে বেশি দেখা যায় নখ হলদেটে হয়ে যেতে বা ছোপ ধরতে। শুধু তা-ই নয়, নেলপলিশের মধ্যে থাকা রাসায়নিকের প্রভাবে কিউটিকলের (নখের আস্তরণ) যথেষ্ট ক্ষতি হয়। কারও কারও নখ ভঙ্গুর, পাতলাও হয়ে যায়।
যে উপকরণে ক্ষতি হয়?
দ্রুত শুকিয়ে যাবে, বেশি দিন নখে টিকে থাকবে— এমন নেলপলিশেরই সন্ধান করেন সকলে। এ কাজেই ব্যবহৃত অ্যাসিটোন, ইথাইল অ্যাসিটেট, আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল, ফরম্যালডিহাইডের মতো রাসায়নিক। এই ধরনের উপাদানগুলি নখের পক্ষে ক্ষতিকর। ডিবুটাইল পিএইচথ্যালেটের মতো উপাদানও কখনও কখনও ব্যবহার হয়। এর ফলে নখের চারপাশে বা ত্বকে চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইদানীং মেনিকিওরের সময় ব্যবহৃত ইউভি বা এলইডি ল্যাম্প— নখের আরও ক্ষতি করে।
যেভাবে নখের ক্ষতি আটকাবেন?
*পালা-পার্বণ বা অনুষ্ঠানে নেলপলিশ পরুন। সব সময়ে নয়।
* লম্বা সময় নেলপলিশ পরে থাকার চেয়ে কিছু দিন পরা বন্ধ রাখা ভালো।
* নেলপলিশের উপকরণে নজর দেওয়া প্রয়োজন। নেলপলিশ পরার আগে বেস কোট এবং টপ কোট ব্যবহার করুন। এতে নেলপলিশ দীর্ঘ দিন নখে থাকলেও, ততটা ক্ষতি হবে না।
* জেল নেলপলিশ নিয়মিত ব্যবহার না করাই ভালো।
* নেলপলিশ তোলার পর নখ পরিষ্কারের পাশাপাশি কিউটিকল অয়েল বা কাঠবাদামের তেল বা কিংবা অলিভ অয়েল দিয়ে নখ মালিশ করুন। এতে নখে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। কিউটিকল মজবুত হয়।
* নিয়ম করে নখ কাটা এবং পরিচ্ছন্ন রাখাও জরুরি। না হলে তা থেকে পেটের অসুখ হতে পারে।
কখন চিকিৎসকের সাহায্য দরকার?
* নেলপলিশ ব্যবহারের পরে অ্যালার্জি হলে।
* নখে সংক্রমণ দেখা দিলে। নখ তার স্বাভাবিকত্ব হারালে।