
সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ বলেছেন, স্বৈরাচার হাসিনার একটি অডিও শুনলাম। সেখানে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুকে নির্দেশ করে হাসিনা বলছে, সাংবাদিকদের হাদিয়া দাও আর যদি কথা না শুনে তাহলে চ্যানেলের লাইন কেটে দাও।
হাসিনা বিপুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সাংবাদিকদের হাদিয়া দিয়ে ভালো কাভারেজ করতেছো না কেন। তোমার কথা যেগুলো সেগুলো তো আসতেছে না।
গত বছরের ২৪ জুলাই শেখ হাসিনা ও নসরুল হামিদ বিপুর মধ্যে এ ফোনালাপ হয় বলে জানা গেছে।
ফোনালাপে নসরুল হামিদ বিপু বলেন, জ্বালানি বিল নিয়ে আর কোনো সমস্যা নেই। একদিনে কাভার করে ফেলছি ২৪ লাখ। শেখ হাসিনা বলেন, ২৪ লাখ! তাহলে এটা নিউজ করো।
উত্তরে বিপু বলেন, করছি তো।
বিপু বলেন, আরে দেখবেন কেমনে! কালকে আমি জোর করে বললাম, এত ছবি তুললা একটাও তো দেখাইলা না। হাসিনা বলেন, আমি যা বলি শুনো, থোরাসা হাদিয়া দে দো।
বিপু বলেন, হু ঠিকাছে।
ফোনে হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, শিবির আর ছাত্রদল মিলেই যে (অগ্নিসংযোগ) করছে, মানে বিএনপি-জামায়াত যে করছে, এটা বারবার বলতে হবে, লিখতে হবে। আর বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করো। কারণ বিদেশে খবর যাচ্ছে ছাত্রলীগ এসব করছে। ছাত্রলীগ তো মাইর খেয়ে বের হয়ে চলে আসছে। তাদের তো কিচ্ছু নেই, কাপড়চোপড় নেই। বলে, আপা আমরা এক কাপড়ে।
নসরুল হামিদ বিপু হচ্ছে হাসিনা সরকারের একজন মাফিয়া এবং টাকা পাচারকারী দুর্নীতিবাজ। বহু বছর ধরে তিনি বিদ্যুৎ এবং জ্বালানির দায়িত্বে ছিলেন। এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ১৬টি দেশে বিপু ও তার পরিবারের সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে অনেকেই মনে করেন আরো অনেক দেশেই বিপুর লুণ্ঠনের টাকা রয়েছে। এখন পর্যন্ত যেসব দেশে বিপুর অর্থের সন্ধান পাওয়া গেছে, তার মধ্যে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, বারমুডা, মাল্টা, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, মোনাকো, সাইপ্রাস ও তুরস্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি কম্পানি খুলে ওই কম্পানির মাধ্যমে নসরুল হামিদ বিপুর হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।